international

Loading...
অভাবের তাড়নায় নিজেকে ট্রেনের নিচে সপে দিলেন মা

অভাবের তাড়নায় নিজেকে ট্রেনের নিচে সপে দিলেন মা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি



দুই মেয়ের পড়ালেখা আর সংসারের অন্যান্য খরচ জোগাতে না পেরে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন এক মা। আজ রোববার লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম খাদিজা বেওয়া। ৩৫ বছর বয়সী এই নারীর বাড়ি উপজেলার বড়াবাড়ি গ্রামে।

ঘটনার প্রত্যক্ষর্দশী স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে বুড়িমারী-লালমনিরহাট রেলরুটের আদিতমারী রেলষ্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে যায়। স্থানীয় লালব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে বিধবা খাদিজা দৌঁড়ে গিয়ে ট্রেনের সামেনে শুয়ে পড়েন। মুহূর্তেই দু’টুকরা হয়ে যায় তার দেহ।

খবর পেয়ে আশপাশের মানুষ এসে তাকে চিনতে পারেন। খাদিজা বড়াবাড়ি গ্রামের মৃত লাভলু মিয়ার স্ত্রী। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের সব খরচ বহন করতে হতো খাদিজাকে। কিন্তু স্বামীর কোনো সঞ্চয় না থাকায় প্রতিদিনের খরচ জোগানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।

ধারণা করা হচ্ছে, এক পর্যায়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন এই মা।

ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, খাদিজার স্বামী মারা যাওয়ার পর খুব কষ্ট করে চলছিল পরিবারটি। আজ সকালে মেয়ের স্কুলে যাওয়ার কথা বলে খাদিজা বোরকা পরে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্কুলে না গিয়ে তিনি লালব্রিজের রেললাইন এলাকায় চলে যান।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। নিহতের লাশ তার পরিবারের নিকট দেয়া হয়েছে।
ভারতে কলকাতার আরো একটি স্কুলে কন্যা শিশুকে যৌন নিগ্রহ BBC News বাংলা

ভারতে কলকাতার আরো একটি স্কুলে কন্যা শিশুকে যৌন নিগ্রহ BBC News বাংলা

ভারতের কলকাতায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপরে লাগাতার যৌন নিগ্রহ চালানোর অভিযোগে পুলিশ এক নৃত্য-শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।




তার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিগ্রহ-রোধ আইন - 'পকসো'র বেশ কয়েকটি ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ নিয়ে গত কয়েক মাসে কলকাতার তিনটি নামী স্কুলের তিনটি কন্যা-শিশুর ওপরে স্কুলের মধ্যেই যৌন নিগ্রহ চালানোর অভিযোগ উঠল।

আজ শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারিদের পরিচালিত 'কারমেল প্রাইমারী স্কুল'-এর সামনে অভিভাবকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

তাদের অভিযোগ, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটির ওপরে তার নাচের শিক্ষক যে মাস-খানেক ধরেই যৌন নিগ্রহ চালাচ্ছেন, সেটা জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি স্কুল। উল্টো, যৌন নিগ্রহের প্রমাণ চাওয়া হয়।

তারা প্রশ্ন তুলেছেন মেয়েদের স্কুলে কেন পুরুষ শিক্ষক রাখা হবে, তা নিয়েও।

এর আগে দুটি স্কুলের নিচের ক্লাসের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হওয়া সত্ত্বেও কারমেল স্কুলের ভেতরে কোনো সিসিটিভি লাগানো হয় নি বলে ক্ষোভ জানান অভিভাবকরা।

অভিযুক্ত শিক্ষককে তাদের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবী জানাতে থাকেন তারা।

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর বিএনপি এবার কেন হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়নি

রোহিঙ্গা 'গণহত্যার খবরের কারণে' রয়টার্সের সাংবাদিক আটক

পুলিশ যখন ওই অভিযুক্ত নাচের শিক্ষক সৌমেন রানাকে স্কুল থেকে বার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন অভিভাবকদের হাতে গণপিটুনি খান তিনি। অন্যদিকে স্কুলের ভেতরেই আটকা পড়ে বহু ছাত্রী।

পরে যৌন নিগ্রহের শিকার ছাত্রীর বাবা-মাকেও থানায় নিয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা নেয় পুলিশ।

স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে শুধু জানিয়েছে যে অভিযুক্ত শিক্ষককে তারা সাসপেন্ড করেছে আর এই বিষয়ে পুলিশই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জেরায় অবশ্য অভিযুক্ত শিক্ষক দাবী করেছেন যে তিনি কোনো ছাত্রীর ওপরে যৌন নিগ্রহ চালান নি। অত ছোট বাচ্চার সঙ্গে যৌন নিগ্রহ করার প্রশ্নই ওঠে না বলেও তিনি জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রগুলি বলছে।


ভারতে শিশুদের ওপরে যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের হাজার হাজার ঘটনা সামনে আসছে, এবং সংখ্যাটা প্রতিবছরই বাড়ছে। ফাইল ফটো
ভারতে শিশুদের ওপরে যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের হাজার হাজার ঘটনা সামনে আসছে, এবং সংখ্যাটা প্রতিবছরই বাড়ছে।

জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু ধর্ষিত হয়েছে আর যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরও প্রায় ১২,০০০ শিশু। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুটির পরিচিত জনেরাই যৌন নির্যাতন চালান বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

শুধু কন্যা-শিশু নয়, পুত্র-শিশুদের ওপরেও যৌন নির্যাতন চলে ব্যাপক হারে, যদিও একবারই মাত্র, ২০০৭ সালে এ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়।

সমাজকর্মীরা জানাচ্ছেন, যত যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার প্রায় ৫০ শতাংশই ছেলেদের ওপরে ঘটে।

সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ

শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেন, এমন সমাজকর্মীরা মনে করছেন, যৌন নির্যাতন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে আগে যেসব ঘটনা সামনে আসত না, এখন তার থেকে অনেক বেশী সংখ্যায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছে।

কিন্তু তবুও বহু ঘটনা এখনও জানানো হয় না লোকলজ্জার ভয়ে।

তবে অনেক স্কুলেই বাচ্চাদের 'গুড টাচ, ব্যাড টাচ'-এর পাঠ দেওয়া শুরু হয়েছে, শিশুদের শেখানো হচ্ছে, কেউ যদি খারাপভাবে আদর করে বা ছোঁয়, তাহলে তারা যেন চেপে না গিয়ে মায়ের কাছে বলে দেয়।

যদিও এই শিক্ষাদান এখনও পর্যন্ত মোটামুটিভাবে বেসরকারি স্কুলগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
চাঞ্চল্যকর রুপা ধর্ষণ ও হত্যায় চারজনের ফাঁসি, একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড BBC News বাংলা

চাঞ্চল্যকর রুপা ধর্ষণ ও হত্যায় চারজনের ফাঁসি, একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড BBC News বাংলা

বাংলাদেশে চাঞ্চল্যকর রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে বাসের চালক এবং সহকারীসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।



এছাড়া যে বাসে ঐ ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, সেই বাসটি জব্দ করে রুপার পরিবারকে দিয়ে দেবার আদেশ দিয়েছে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশুবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ২৫শে অগাস্ট বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাবার পথে বাসের চালক, সহকারী এবং সুপারভাইজার জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।

ঘটনার পরে রুপার লাশ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইলে দাফন করা হয়।



পরে ২৮শে অগাস্ট রুপার ভাই মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে বোনকে শনাক্ত করেন।

অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় অভিযোগ গঠন, সাক্ষী ও যুক্তিতর্কের জন্য মাত্র ১৪ দিন সময় নেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর রাস্তাঘাট ও গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা হীনতার বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহ বিভিন্নভাবে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

বাংলাদেশে রাতের গণপরিবহনে নারীরা কতটা নিরাপদ? BBC News বাংলা

বাংলাদেশে রাতের গণপরিবহনে নারীরা কতটা নিরাপদ? BBC News বাংলা

বাংলাদেশে নারী যাত্রীদের অনেকেই বলছেন, রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন কিংবা পুরুষ যাত্রীদের দ্বারা শারীরিক কিংবা মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তারা।






একদিকে নিরাপত্তা নিয়ে আস্থাহীনতা অন্যদিকে সামাজিক অসচেতনতার কারণে দিন দিন নির্যাতন ও নিগ্রহের ঘটনা বাড়ছে।

নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর দৃশ্যমাণ তৎপরতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নারীদের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই।

রাত ন'টায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত রিমা ইসমাত।

মোহাম্মদপুর থেকে তার গন্তব্য বেড়িবাধ পার হয়ে বসিলা। এলাকাটা বেশ নির্জন।

তাই রিমা ইসমাতও বাসে ওঠেন নানা হিসেব নিকেষ করে।

আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর রুপা ধর্ষণ ও হত্যায় চারজনের ফাঁসি

নদীতে বোমা পাওয়ার পর বন্ধ লন্ডনের সিটি এয়ারপোর্ট

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কতটা নিরাপদ?

তিনি বলছিলেন, ''আমি বাসে উঠি। যদি দেখি অনেকে নেমে যাচ্ছে এবং যাত্রী খুব কম তখন আমিও নেমে যাই। কারণ সবসময়ই একটা ভয় কাজ করে।''

মিসেস ইসমাতের আশংকা রাতের যাত্রায় নির্জন রাস্তায় যৌন হেনস্থার শিকার হতে পারেন তিনি।

এমন আশংকার ভিত্তিও আছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণপরিবহণে নারীদের উপর যৌন নিপীড়ন হবার অনেক ঘটনাই সামনে এসেছে।

মিসেস ইসমাতের নিজেরও আছে তিক্ত অভিজ্ঞতা।

'একদিনের ঘটনা, আমার ডানপাশে একজন পুরুষ যাত্রী বসা। বামপাশে আরেকজন দাঁড়ানো যাত্রী। ডানপাশে যিনি বসা তাকেও আমি ট্যাকল করতে পারছি না, অন্যদিকে দাঁড়ানো যাত্রীও আমার উপর চলে আসছেন। আমি বললেও শোনে না। অন্য পুরুষ যাত্রীরাও নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।"
রাতে নিরাপত্তা বলতে পুলিশের টহল গাড়ি
বাংলাদেশে দূরপাল্লার বাসগুলোতে রাতের বেলায় যেসব নারী যাত্রী ভ্রমণ করেন তাদের জন্য কী নিরাপত্তা আছে?

যতটুকু দেখা যাচ্ছে, এসব পরিবহনে নিরাপত্তা বলতে সড়কে পুলিশের টহল আর বাসে কোম্পানি নিযুক্ত সুপারভাইজার।

রাজধানীর গাবতলীতে যশোরগামী একটি বাসের চালক অবশ্য জানালেন, তাদের বাসে নারী যাত্রীরা যথেষ্ট নিরাপদ।

"আমাদের বাসে যদি একলা মহিলা যাত্রী থাকে। তাহলে আমরা চেষ্টা করি, তার পাশের সিটে একজন মহিলা যাত্রী দেয়ার। না দেয়া গেলে সেক্ষেত্রে আমাদের সুপারভাইজার আছে। আমরা খেয়াল রাখি।"

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে গত বছরের ২৫শে আগস্ট দেশজুড়ে আলোচিত কলেজছাত্রী রুপা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিলো চলন্ত বাসের ভেতরে বাস চালক ও সহযোগীদের মাধ্যমেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলছিলেন, বাসে খোদ পরিবহন সংশ্লিষ্টরাই অনেক সময় ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ান।

তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "একদিন নাইট কোচে আমি একাই ঢাকা থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিলাম। পাশের সিট খালিই ছিলো। রাত যখন একটু বাড়লো, তখন বাসের সুপারভাইজার এসে দেখা গেল বারবার আমার সঙ্গে গল্প করার চেষ্টা করছে।"

"একটা পর্যায়ে রাত যখন আরো গভীর হলো তখন সে আমার পাশের সিটটায় এসে বসে পড়লো। আমি যখন তাকে বকা দিলাম এবং আমার নানু যিনি এলাকায় বেশ প্রভাবশালী তার পরিচয় দিলাম তখন সে ভয় পেয়ে চলে যায় এবং বলে আপু রাগ করিয়েন না। কিন্তু এরপরও পুরোটা পথ আমি সে রাতে ঘুমাতে পারিনি।"

বেসরকারি সংগঠন একশন এইডের একটি জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে দিনের বেলাতেই যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে নানারকম হেনস্থার শিকার হন নারী যাত্রীদের একটা বড় অংশ।

তাদের জরিপে, বাসে পুরুষ যাত্রীদের মাধ্যমে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন ৪২ শতাংশ নারী যাত্রী। এছাড়া পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৩ শতাংশ নারী যাত্রী।

এরসঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাতে নারীযাত্রীদের হয়রানি, ধর্ষণ এমনকি হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে ভীতি বাড়ছে।

ফলে দিনের বেলা নারীদের স্বাভাবিক চলাচল দেখা গেলেও রাতে তা অনেকটাই কমে আসে।

রাজধানীর সদরঘাট থেকে সাভার রুটে চলাচলকারী স্বজন পরিবহনের একটি বাসে কথা হয় দুইজন যাত্রীর সঙ্গে।

এর মধ্যে একজন নারী যাত্রী বলছিলেন, " কিছু ছেলেপেলে আছে, নানারকমভাবে তারা হয়রানি করে। মানে মহিলাদের হয়রানি তো করেই।"

আরেকজন পুরুষযাত্রী বলছিলেন, "রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমাদের পুরুষদেরও মানসিকতা পরিবর্তন দরকার।"

কিন্তু গণরিবহনে নারীদের নিরাপত্তাবোধের এই অভাব দূর করার কি কোন উপায় আছে?


নারী অধিকারকর্মী কাশফিয়া ফিরোজ বলছেন, পুরো নগরীটাকেই নারীবান্ধব হতে হবে
নারী অধিকার কর্মী কাশফিয়া ফিরোজ বলছিলেন, "যে শহরে দিনের বেলা নারীরা নিরাপদ নয়, সে শহরে রাতেও নিরাপদ হবে না। নিরাপদ করতে হলে শহরটাকেই নারী বান্ধব করতে হবে। বাসের যারা হেলপার, ড্রাইভার আছেন তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেন বিপদে পড়লে নারীরা তাদেরকে রিপোর্ট করতে পারে এবং তারাও নারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসে।"

ভারতের দিল্লীতে নির্ভয়া হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনার পর সেখানে নারীরা যে কতটা অনিরাপদ তা আলোচিত হয়েছিলো বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশে রূপার ঘটনাটিও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে এখানেও নির্জন রাস্তায় একাকী নারী সমানভাবে অনিরাপদ। বাংলাদেশে যেখানে সর্বক্ষেত্রে নারীপুরুষ সমান অধিকার, সমান অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, সেখানে গণপরিবহণে একাকী নারীর নিরাপত্তাবোধের ইস্যুটি নিসন্দেহে বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন।
বাংলাদেশে যে চলন্ত বাসে ধর্ষণ, সেই বাসের মালিকানা পাবে রূপার পরিবার BBC News বাংলা

বাংলাদেশে যে চলন্ত বাসে ধর্ষণ, সেই বাসের মালিকানা পাবে রূপার পরিবার BBC News বাংলা

রূপা ধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় মাত্র ছয় মাসের মধ্যে যেভাবে আসামীদের বিচার শেষ করা হয়েছে, তা বাংলাদেশে খুব বিরল। যে চলন্ত বাসে এই অপরাধ হয়েছিল, সেটিও নৃশংসতার শিকার তরুণীর পরিবারকে দিতে বলেছেন বিচারক। কোন অপরাধের রায়ে এ ধরণের নির্দেশ, সেটিও সচরাচর দেখা যায় না।



ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে আশ্চর্য মিল ছিল রূপা ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায়। রূপাকেও চলন্ত বাসে ধর্ষন করা হয়েছিল, এরপর হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছিল জঙ্গলে। মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই সেই ঘটনার বিচার হলো।

নির্ভয়া ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে ভারতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল, রূপাকে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনাও একইভাবে আলোড়িত করে বাংলাদেশের মানুষকে।

ঘটনার পরপরই বাসটির চালক হেলপার সহ ৫জনকে আটক করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

এরপর গত ২৯শে নভেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো আদালতে।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম নাছিমুল আক্তার বলছেন ঘটনার ১৭৩ দিনের মধ্যে মাত্র ১৪ কর্ম দিবসেই সব কার্যক্রম শেষ করে আজ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দিলো আদালত।

তিনি বলেন, "পাঁচ আসামীর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড আর একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে এক লাখ জরিমানা করেছে আদালত। এ টাকা এবং যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে সে বাসটি আদালতের আয়ত্তে নিয়ে রূপার পরিবারকে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।"

নাছিমুল আক্তার বলেন মাত্র ১৪ কর্ম দিবসে মামলাটি নিষ্পত্তি করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ ট্রাইব্যুনাল।

যেভাবে ঘটেছিল:

ময়মনসিংহের একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে কাজ করতেন রূপা, পাশাপাশি পড়তেন একটি ল কলেজে।

বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গত বছরের ২৫শে অগাস্ট বাসে ময়মনসিংহ ফিরছিলেন তিনি।

পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় মধুপুর এলাকার জঙ্গলে।

বাংলাদেশে রাতের গণপরিবহনে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
পরিচয় না পেয়ে প্রথমে বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফন করা হলেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে।

দুদিন পর মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে নিজের বোনকে সনাক্ত করেছিলেন রূপার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক।

আসামীদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি থেকেই জানা গিয়েছিলো যে রূপা যে বাসে ফিরছিলেন সে বাসটি ঐদিন রাতে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা অতিক্রম করার পর সব যাত্রী নেমে যায়।

এরপর বাসটি কালিহাতি এলাকায় পৌঁছালে বাসের মধ্যেই ধর্ষণের শিকার হন রূপা।

মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে মধুপুর এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেয় বাসের হেলপারসহ অন্যরা।

রায়ে প্রতিক্রিয়া:

রূপার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক বিবিসিকে বলেছেন রায়ে ন্যায়বিচার পেয়েছে তাদের পরিবার।

তিনি বলেন, "আমরা সন্তুষ্ট। এখন আমরা চাই রায় দ্রুত কার্যকর হোক। তাহলেই আমার বোন অর্থাৎ রূপার আত্মা শান্তি পাবে। আর উচ্চ আদালতে গেলেও রায়টি যেনো বহাল থাকে,আমরা সেটিই চাইছি"।

তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী বলছেন তারা এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।

তিনি বলেন, "আমরা প্রত্যাশিত ন্যায় বিচার পাইনি। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষ কোনভাবেই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো এবং আশা করি সেখানে ন্যায় বিচার পাবো"।

আরও পড়ুন: রাতের গণপরিবহনে নারীরা কতটা নিরাপদ?

নদীতে বোমা পাওয়ার পর বন্ধ লন্ডনের সিটি এয়ারপোর্ট

তবে রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া যাই হোক রুপা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে ও গণ পরিবহনের নারীদের নিরাপত্তা হীনতার বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছিলো।

বিশেষ করে যেসব শিক্ষিত নারীরা দূরদূরান্তে শিক্ষা বা কাজের প্রয়োজনে গণ পরিবহনে যাতায়াত করেন তারা কতটুকু নিরাপদ তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিলো।

আর সে কারণেই মানবাধিকার সংস্থাসহ অনেকেই আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তাতেই এগিয়ে এসেছিলো যাতে রূপা ধর্ষণ ও হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
'খালেদা জিয়াকে দীর্ঘমেয়াদে কারাবন্দী রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার'  BBC News বাংলা

'খালেদা জিয়াকে দীর্ঘমেয়াদে কারাবন্দী রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার' BBC News বাংলা

বাংলাদেশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর তাঁকে সরকার দীর্ঘমেয়াদে কারাবন্দী রাখতে চায় বলে আশংকা করছেন দলটির নেতারা।






খালেদা জিয়াকে গত সপ্তাহে একটি দুর্নীতির মামলায় আদালত দোষী হিসেবে সাজা দেয়ার পর তিনি এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী।

তাঁর আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে একটি আপিল মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু রায়ের সত্যায়িত কপি এখনো পর্যন্ত না পাওয়ায় আপিল আবেদন নিয়ে এখনো বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেন নি।

কিন্তু এরই মধ্যে তিন বছরেরও বেশি সময়ের পুরোনো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি নাশকতার মামলায় বিএনপি নেত্রীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

তাঁর পক্ষের অন্যতম একজন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানিয়েছেন, নাশকতার মামলাটির গ্রেফতারি পরোয়ানা এখন কারাগারে পাঠিয়ে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

২০১৫ সালের শুরুতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের টানা ৯০ দিনের অবরোধের সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় আটজন নিহত এবং অনেক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল।

খালেদা জিয়াকে জেলে নেয়ার প্রতিবাদে বিএনপি কর্মীদের বিক্ষোভ
সেই নাশকতার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ চার্জশিট দিয়েছিল গত নভেম্বরে। তাতে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করে মোট ৭৭জনকে আসামী করা হয়েছিল।

সেখানকার আদালত চার্জশীট গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

মামলাটির তদন্তকারি এবং ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন বলেছেন, আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে গ্রেফতারী পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট কারাগারে পাঠিয়ে তা যুক্ত করা হয়।

বিএনপি নেত্রীর দুর্নীতির মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর আইনজীবীরা আপিল করার প্রস্তুতি শেষ করে রেখেছেন। রায়ের সার্টিফাইড কপি ছাড়া সেই আবেদন তাঁরা করতে পারেছেন না।

তাঁরা আগামীকাল মঙ্গলবার সার্টিফাইড কপি পাওয়ার আশা করছেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি দুর্নীতির এবং ১১টি নাশকতার মামলাসহ মোট ৩১টি মামলা আছে। এরমধ্যে নাশকতার চারটি মামলায় কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় গ্রেফতারী পরোয়ানা হয়ে রয়েছে।

তাঁর অন্যতম আইনজীবী এবং বিএনপির সিনিয়র নেতা মওদুদ আহমেদ বলছিলেন, তাদের নেত্রী কারাবাস দীর্ঘায়িত করতে সরকার এখন নাশকতার মামলাগুলোতেও গ্রেফতার দেখাচ্ছে।

"নাশকতার মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে। যাতে তাঁর কারাবাস কয়েকদিন দীর্ঘ করা যায়। এটা সরকার তাদের রাজনৈতিক কৌশল থেকে করছে।"

তবে এসব অভিযোগ মানতে রাজী নন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।তিনি বলেছেন, আইন অনুযায়ীই বিষয়গুলো এগুচ্ছে।

"তিনি সুনির্দিষ্ট মামলায় সাজা পেয়ে জেলে গেছেনএবং অন্যান্য আরও কিছু সুনির্দিষ্ট মামলায় ইতিমধ্যে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়ে আছে। আমাদের কোন ইচ্ছাই নেই যে আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন কিংবা একাধিকবার তিনি প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য আমরা জেলখানায় নিয়ে যাব।এরকম কোন অভিপ্রায় আমাদের নেই।আদালত থেকে যে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত শুধু অনুসরণ করছি।"

বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিও অব্যাহত রেখেছে। সোমবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতা কর্মিরা মানববন্ধন করেছেন।

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও তাদের মানববন্ধন করার খবর পাওয়া গেছে।

থাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ 'ফর্সা' করার এই ঝোঁক কেন? বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

থাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ 'ফর্সা' করার এই ঝোঁক কেন? বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

গায়ের রঙ ফর্সা করার চেষ্টা এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু থাইল্যান্ডের কিছু পুরুষ যেভাবে তাদের পুরুষাঙ্গ 'ফর্সা' করার চেষ্টা করছেন, তা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দেশটির 'বিউটি ইন্ডাষ্ট্রি' আসলে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কীনা।


দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এখনো 'ফর্সা' বা 'উজ্জ্বল' গায়ের রঙকে কালো বা শ্যামলা রঙের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে মেয়েদের বেলায় তাদের গায়ের রঙ সৌন্দর্য্যের অন্যতম মাপকাঠি বলে বিবেচিত হয়।

থাইল্যান্ডেও গায়ের রঙ ফর্সা করার প্রবণতা দেখা যায় অনেক নারী-পুরুষের মধ্যে। কিন্তু 'পুরুষাঙ্গ' ফর্সা করার চেষ্টার কথা জানা গেলো এই প্রথম।

একটি থাই হাসপাতাল অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল কিভাবে তারা পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার কাজটি করে। এই ভাইরাল ভিডিওটি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষের সোশ্যাল মিডিয়া টাইমলাইনে।

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এভাবে 'লেজার রশ্মি' ব্যবহার করে পুরুষাঙ্গ 'ফর্সা' করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্কবাণী দিয়েছে।

কেন এই ঝোঁক

এভাবে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করেছেন এমন একজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসির থাই সার্ভিস।

তিনি এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, সুইমিং কস্টিউম পরে তিনি যখন সাঁতারে যান, তখন তিনি আরও বেশি 'আত্মবিশ্বাসী' বোধ করতে চান।

তিরিশ বছর বয়সী এই ব্যক্তি দুই মাস আগে প্রথম পুরুষাঙ্গ ফর্সা করতে একটি ক্লিনিকে যান। তিনি দাবি করছেন, তার পুরুষাঙ্গটির রঙ ইতোমধ্যে নিশ্চিতভাবেই ফর্সা হতে শুরু করেছে।

মূলত লেজার রশ্মি ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয়। মানুষের ত্বকে যে মেলানিন থাকে, লেজার দিয়ে সেটি ধ্বংস করা হয়।

রঙ ফর্সা করার প্রবণতা অনেক পুরনো হলেও পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার চেষ্টার কথা এই প্রথম জানা গেলছবির 
রঙ ফর্সা করার প্রবণতা অনেক পুরনো হলেও পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার চেষ্টার কথা এই প্রথম জানা গেল
যে ক্লিনিকটি এই পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার এই 'চিকিৎসা' দিচ্ছে, তারা ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এই পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করেছিল। পোস্টটি দুদিনেই ১৯ হাজার বার শেয়ার হয়েছে।

সেখানে 'চিকিৎসার আগে' এবং 'চিকিৎসার পরের' ছবিও দেয়া আছে।

ফেসবুকে এই পোস্টের নীচে নানা রকম মন্তব্য করেছেন অনেকে। বেশিরভাগেরই প্রশ্ন, 'এটা করতে হবে কেন?'। তবে কেউ কেউ এই প্রশ্নের মজার উত্তরও দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, "এর ফলে এটিকে টর্চলাইট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এটি উজ্জ্বল হয়ে উঠুক।"

অবশ্য পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার এই প্রবণতাকে নাকচ করে দিয়ে একজন নারী লিখেছেন, রঙ কালো না ফর্সা তা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

আরও পড়ুন: যে কোম্পানির হাতে ঝুলছে সৌদি আরবের ভাগ্য

গণতন্ত্রে কী প্রভাব রাখলো ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন

২০১৭ সালে যেসব ঘটনা আলোড়ন তুলেছিল

থাইল্যান্ডের লেক্সাস হাসপাতাল অবশ্য পুরুষাঙ্গ নয়, মেয়েদের যৌনাঙ্গ ফর্সা করার সার্ভিসটাই আগে শুরু করেছিল।

হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার পপল টানসাকুল বিবিসিকে জানান, চার মাস আগে তারা মেয়েদের যৌনাঙ্গ ফর্সা করার সার্ভিস শুরু করেন। "এরপর অনেকে আমাদের কাছে জানতে চান, পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার সার্ভিস পাওয়া যাবে কিনা। কাজেই এরপর আমরা সেটাও চালু করেছি।"

তিনি জানান, যৌনাঙ্গের রঙ ফর্সা করতে পাঁচটি সেশনের জন্য খরচ পড়ে সাড়ে ছয়শো মার্কিন ডলারের মতো। গড়ে মাসে বিশ-তিরিশ জন 'রোগী' তাদের কাছে এই সেবা নিতে আসেন। কম্বোডিয়া, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন থেকেও অনেকে এই সেবা নিতে আসেন।

মিস্টার পপল জানান, "বিশেষ করে সমকামী এবং 'ট্রান্সভেস্টাইটস' মানুষদের মধ্যেই এটি বেশি জনপ্রিয়। তারা শরীরের সব অংশকে আকর্ষণীয় রাখতে চায়।"

'এটির প্রয়োজন নেই"

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে যৌনাঙ্গ ফর্সা করার এই প্রবণতার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি একেবারেই 'অপ্রয়োজনীয়'।

তারা বলছে, এর ফলে শরীরে নানা ধরণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্যাথা, ফুলে যাওয়া এবং দাগ পড়া এমনকি বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড: থোংচাই কিরাটিহুত্যাকর্ণ বলেছেন, লেজার দিয়ে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করা অর্থের অপচয়ই শুধু নয়, এটি ভালো চেয়ে আপনার মন্দই বেশি করবে।"

রঙ ফর্সা করার এই চেষ্টাকে 'বর্ণবাদী' বলে সমালোচনা হচ্ছে

রঙ ফর্সা করার এই চেষ্টাকে 'বর্ণবাদী' বলে সমালোচনা হচ্ছে
'বর্ণবাদী বিজ্ঞাপন'
গায়ের রঙ ফর্সা করার এই চেষ্টা গত কয়েক দশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনেক বেড়েছে। লেক্সাস হাসপাতাল বলছে, তাদের পঞ্চাশ শতাংশের বেশি রোগীই আসলে আসেন রঙ ফর্সা করতে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাদের গায়ের রঙ ফর্সা নয়, তাদের শ্রমজীবী শ্রেণী থেকে আসা মানুষ বলে গণ্য করা হয়। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা কখনোই ক্ষেতে কাজ করেনি, এমনটাই ভাবা হয়।

সেখানে বাজারে বহু ধরণের রঙ ফর্সা করার সামগ্রী পাওয়া যায় সেগুলোর বিজ্ঞাপন নিয়ে অতীতে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ব্যংককের একটি পাবলিক টয়লেটের ওপর এরকম একটি বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, "এই টয়লেট কেবল ফর্সা মানুষদের জন্য।"

একটি থাই কসমেটিক কোম্পানিকে তাদের রঙ ফর্সা করার একটি ক্রিমের বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হয়েছিল এটির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার পর। বিজ্ঞাপনে একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, এই ক্রিম ব্যবহারে তার গায়ের রঙ ফর্সা হয়েছে। এটিকে বর্ণবাদী বলে বর্ণনা করেছিলেন সমালোচকরা।

২০১৪ সালে মিস থাইল্যান্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যিনি জয়ী হয়েছিলেন, তার গায়ের রঙ কেন অন্যদের তুলনায় কালো তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।

তবে থাই মডেল ননথোয়ান মায়েয়া থোংলেং তখন বলেছিলেন, যে মেয়েরা তাদের গায়ের রঙ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন, তিনি চান তারা যেন এসব ঝেড়ে ফেলে আত্মবিশ্বাসী হন।
পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন চালানো গবেষণায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, কারা বেশি রোগাক্রান্ত হয়। যারা কম ঘুমায় কিংবা যারা বেশি ঘুমায় তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং কম বাঁচে।

কম ঘুমানোর কারণে তারা রোগাক্রান্ত হচ্ছে কি না সেটি বলা বেশ কঠিন। এখানে কম ঘুমানো মানুষ বলতে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে যারা রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমায়। অন্যদিকে বেশি ঘুমানো মানুষ বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে যারা নয় কিংবা ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমায়।

ঘুমের অভাব শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে?
বয়:সন্ধিকালের আগ পর্যন্ত প্রতি রাতে ১১ ঘণ্টা ঘুমানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নবজাতকের জন্য প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছর তাদের প্রতিরাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের মস্তিষ্ক বিষয়ক গবেষক শেন ও'মারা বলেন, শুধু কম ঘুমের কারণেই স্বাস্থ্য খারাপ হয় কি না সেটি বলা খুব কঠিন। তবে একটির সাথে আরকেটির সম্পর্ক আছে।

উদাহরন স্বরূপ বলা যায়, যারা কম ব্যায়াম করে তারা কম শারীরিকভাবে কম ফিট থাকে। ফলে যার ফলে বেশি ঘুম পায় এবং নিজেকে ক্লান্ত মনে হয়। আবার ক্লান্ত থাকার কারণে ব্যায়াম করা কমে যায়।

অনেকে আছেন যারা সাংঘাতিক ভাবে ঘুম বঞ্চিত। রাতে এক-দুই ঘণ্টার বেশি তাদের ঘুম হয় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।

বিভিন্ন দেশের মানুষ কতক্ষণ ঘুমায়
ঘুম কম হবার কারণে শারীরিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পৃথিবীজুড়ে ১৫৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং মোটা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে। প্রায় ৫০লাখ মানুষের উপর এসব গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা কয়েক রাত যদি ঘুম কম হয় তাহলে সেটি ডায়াবেটিসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের নিদ্রাহীনতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শরীরের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

রাতের বেলা ঘুমের চক্র

ঘুম কম হলে টিকার কার্যকারিতা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম হলে ক্ষুধার তীব্রতা বাড়ে এবং এতে বেশি খাবারের চাহিদা তৈরি হয়। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি বিভ্রম তৈরি হতে পারে।

অধ্যাপক ও'মারা বলেন, দিনের বেলায় মস্তিকের ভেতরে নানা ধরনের জিনিস তৈরি হয় এবং রাতে ঘুমের মাধ্যমে সেগুলো অপসারণ হয়ে যায়। এ কারণে মস্তিষ্ক দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

তবে অতিরিক্ত ঘুম হলে শরীরের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে সেটি পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না ।


আমরা যখন ঘুমাই তখন গুমরে কয়েকটি স্তরের ভেতর দিয়ে যাই। ঘুমের একটি চক্র আছে। প্রতিটি চক্র ৬০ থেকে ১০০ মিনিট পর্যন্ত থাকে। ঘুমের বিভিন্ন স্তরের সময় আমাদের শরীরের ভেতরে যেসব বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে।

এ স্তরগুলোর মধ্যে আছে- ঘুম-ঘুম ভাব, হালকা গভীর ঘুম এবং গভীর ঘুম।

নীল আলো ঘুমের ক্ষতি করতে পারে
কিশোর কিশোরীরা এখন বিছানায় বেশি করে স্ক্রিন ব্যবহার করছে
৬৮%

কিশোর কিশোরী মনে করে রাতে ফোন ব্যবহার করলে স্কুলের পড়ায় ব্যাঘাত ঘটে

৪৫% ঘুমানোর আগে তাদের ফোন দেখে

১০% রাতে ১০ বারের বেশি ফোন দেখে



শিফট অনুযায়ী কাজ করলে সেটি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক ফেলে। গবেষকরা বলছেন, যারা শিফটে কাজ করেন তারা দিনের এমন এক সময়ে ঘুমাতে যান যখন তাদের ঘুম কম হয়। ফলে তাদের ডায়াবেটিস এবং মোটা হয়ে যাবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের রিপোর্ট দেখে মনে হয় আমরা সাংঘাতিক নিদ্রাহীনতায় ভুগছি। কিন্তু আমরা কি আসলেই আগের চেয়ে কম ঘুমাচ্ছি? কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোন কোন দেশে মানুষের মাঝে গড়ে ঘুমের সময় বেড়েছে। আবার কোথাও কিছুটা কমেছে।

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পানের কারণে গুমের উপর প্রভাব রাখতে পারে।

এক দফায় ঘুমানো
প্রথম দফা ঘুমের পর সাধারণত যে সময় মানুষ জেগে ওঠে
২০১৭

'দু-দফায়' ঘুমের কথা সচরাচর শোনা যায় না

১৯০০ মানুষ ভোর হওয়া পর্যন্ত এক দফায় টানা ঘুমায়

১৮২৫ জন সচরাচর ভোর ২টো থেকে ৩টের মধ্যে জেগে ওঠে

১৮০০ জন সাধারণত প্রথম দফা ঘুমের পর রাত একটায় জেগে ওঠে

আমাদের জীবন, স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার উপর ঘুমের প্রভাব কতটা -সেটা কি আমরা জানি? প্রতিদিন আমাদের কতক্ষণ ঘুমানো উচিত? আমরা প্রায়ই শুনি যে প্রতি রাতে আমাদের আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এবং আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলে, প্রতি রাতে আটঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু আট ঘণ্টা ঘুমের এ ধারনা কোথা থেকে আসলো?
ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা বেতন চান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকরা বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা বেতন চান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকরা বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা বেতন চান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকরা



বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নতুন মজুরী নির্ধারণের জন্য একটি নতুন মজুরী বোর্ড গঠন করা হচ্ছে।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের বড় কোন বিক্ষোভ ছাড়াই এবার বেতন বাড়ানোর লক্ষ্যে মজুরী বোর্ড গঠনে সম্মত হয়েছে মালিকপক্ষ।

ন্যূনতম মজুরি হিসেবে এখন শ্রমিকেরা কি দাবী করছে? আর মালিকপক্ষই বা কতটা ছাড় দিতে প্রস্তুত?

অর্থনীতিবিদদের হিসাবে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে ৩০ শতাংশের বেশি। কিন্তু এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি বাড়েনি।

২০১৬ সালে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পর পোশাক খাতেও বেতন বৃদ্ধির জন্য বড় রকমের আন্দোলন হয়েছিল। তবে আশুলিয়ায় শুরু হওয়া এবং বেশ কয়েকদিন ধরে চলা সে আন্দোলন শেষ হয়েছিল কোন প্রতিশ্রতি ছাড়াই।

এখন নতুন মজুরী বোর্ড তৈরির খবরে শ্রমিকেরা বলছেন, তাদের ন্যুনতম বেতন বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করতে হবে।

কথা হচ্ছিল ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি নামী তৈরি পোশাক কারখানার কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে।

"বর্তমানে চালের কেজি ৬০ টাকা, পেয়াজ ১২০ টাকা। ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করাতে পারি না।"

বাংলাদেশে সবশেষ ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
তিনি বলছেন, "একটা রুম ভাড়া যখন তিন হাজার দিতাম, তখন এই বেতনে পোষাইত। কিন্তু এখন একটা রুম ছয় সাত হাজার টাকা হইছে। আমাদের মালিক বলছে ১৫ শতাংশ বাড়াবে, আমাদের বেতনে এতে কত টাকা বাড়ে?"

"আমরা চাই ন্যুনতম মজুরি দশ হাজার টাকা করতে, আর বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা মিলায়ে সর্বমোট ১৬ হাজার টাকা।"

বাংলাদেশে ২০১৩ সালে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৯৮৫ সালে এ খাতে ন্যুনতম মজুরি ছিল ৫৪২ টাকা।

কয়েক দফা বাড়ানোর পর সর্বশেষ ২০১৩ সালে মজুরি বাড়ানো হয়। তবে প্রতিবার বেতন বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক আন্দোলন করতে হয়েছে শ্রমিকদের। এবারই প্রথম কোন আন্দোলন ছাড়াই শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য বোর্ড গঠণে সম্মত হয়েছে মালিক পক্ষ।

শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আলোচনায় মালিকপক্ষ ন্যুনতম মজুরি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, একে খুবই অপ্রতুল বলে বর্ণণা করছিলেন শ্রমিকদের একটি সংগঠন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার।

"২০১৩ থেকে ২০১৮র মধ্যে সব কিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। যেকোন শ্রমিকের জন্য এখন যা বেতন পান তারা, সংসার চালানো কঠিন। মালিকেরা বলছেন ২০ শতাংশ মজুরি বাড়াবেন। আজকে দেখেন জাহাজ ভাঙা শিল্পেও ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার টাকা।"

তবে, মজুরি বৃদ্ধির জন্য তৈরি পোশাক শ্রমিকেরা আন্দোলন করেনি, এমন বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করলেন মিজ তালুকদার।

এবার কোন আন্দোলন ছাড়াই গার্মেন্টস মালিকরা বেতন বৃদ্ধির জন্য বোর্ড গঠন করতেক রাজি হয়েছেন।
তিনি বলছেন, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন চালিয়ে আসছে শ্রমিকেরা। তবে, এখন আর আগের মত রাস্তায় অবরোধ বা ভাঙচুর হয়না বলে দাবী করেছেন তিনি।

তৈরি পোশাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এ খাতে কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলোর অনেকেই শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, মজুরি নির্ধারণের প্রস্তাব তারাই দিয়েছেন, কিন্তু সেটি প্রদানের ক্ষেত্রে মালিকদের সামর্থ বিবেচনায় নিতে হবে।

"এখানে মজুরি ঠিক করতে হবে কারখানার সক্ষমতা অনুযায়ী। ধরুন আপনি একটা মজুরি ঠিক করলেন দিতে পারলেন না। কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, তখন কি হবে? ওয়েজ বোর্ড হলে তারাই ঠিক করবে, কত কি দেয়া যায়। সে অনুযায়ী আমরা মজুরি দেব।"

"কারণ পুরো পৃথিবীতে এখন অ্যাপারেল পন্যের চাহিদা দিনদিন কমে যাচ্ছে, দামও কমে যাচ্ছে। সেখানে টিকে থাকাই মুশকিল। এর ওপর গত দুই বছরে আমাদের আটশো থেকে এক হাজার কারখানা বন্ধ হয়েছে।"

"তাছাড়া কমপ্লায়েন্স নিয়ে এক ধরণের চাপের মধ্যে আমরা আছি। এরকম নানা ইস্যু নিয়ে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা আমাদের এখনো আছে।"

আগামীকাল যে নতুন মজুরী বোর্ড তৈরির কথা রয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে সেটি নতুন মজুরি কার্যকর করবে, এবং শ্রমিকেরা ডিসেম্বর থেকেই নতুন নির্ধারিত মজুরি অনুযায়ী বেতন পাবেন। বলা হয়ে থাকে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশেই সর্বনিম্ন মজুরি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ খাতে এই মূহুর্তে ৪৪ লক্ষ মানুষ কাজ করছে।
বাংলাদেশের একটি মসজিদে দানবাক্সের সোয়া কোটি টাকা কী করা হবে? বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশের একটি মসজিদে দানবাক্সের সোয়া কোটি টাকা কী করা হবে? বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশের একটি মসজিদে দানবাক্সের সোয়া কোটি টাকা কী করা হবে? 

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদ। এই মসজিদের দান বাক্সে সোয়া এক কোটির বেশি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এবং বিদেশী মুদ্রা দান করেছে মানুষ।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন এই মসজিদ অনেক পুরনো। এবং মানুষ বিশ্বাস করেন যে এখানে ইবাদত বন্দেগী করলে সওয়াব পাওয়া যায়। এছাড়া রোগ-শোক নিরাময়ের জন্য প্রতিনিয়ত এখানে মানুষ দান খয়রাত করতে থাকে।

এই মসজিদে মোট ৫ টি দান বাক্স রয়েছে। প্রতি চার মাস পর পর এই দান বাক্স খোলা হয়। এবার চার মাস পর শনিবার এই দান বাক্স বা সিন্দুক গুলো খুললে দেখা যায় আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কারের পরিমাণ।

টাকা গণনার কাজ করছে মসজিদ কমিটিছবির

টাকা গণনার কাজ করছে মসজিদ কমিটি
আগের রেকর্ড ছাপিয়ে টাকা পাওয়া গেছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১টাকা। এছাড়া রয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

এই মসজিদের কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। তাঁর কাছেই প্রশ্ন করেছিলাম এই বিপুল পরিমাণের অর্থ কীভাবে খরচ করা হয়?

তিন বলছিলেন মূলত এই অর্থ মসজিদের বিভিন্ন কাজের যে খরচ সেখানে ব্যয় করা হয়। এছাড়া অন্যান্য মসজিদে পাঠানো হয়, এতিমখানা গুলোতে পাঠানো হয়

চার মাস পর খোলা হয় দানবাক্সছবির 

চার মাস পর খোলা হয় দানবাক্স
স্থানীয় সাংবাদিক তাফসিলুল আজিজ বলছিলেন পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললে প্রতিবারই কোটি টাকার ওপরে পাওয়া যায়।

প্রতিদিন জেলার বাসিন্দা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁদের মনের আশা পূরণের জন্য মসজিদটির দানবাক্সগুলোতে টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন।

জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলছিলেন এই বিপুল পরিমাণ টাকা বাংলাদেশের মধ্যে শুধু মাত্র এই মসজিদের দান বাক্স থেকেই সংগ্রহ করা হয়।

তিনি আরো বলছিলেন এই অর্থ গণনার সময় মসজিদ কমিটির লোক ছাড়াও টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের জেষ্ঠ্য নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বিদেশী মুদ্রা রয়েছে এই দানবাক্সেছবির 

বিদেশী মুদ্রা রয়েছে এই দানবাক্সে
বাংলাদেশের অনেক মসজিদ এবং মাজারে এমন দানবাক্স দেখা যায় যেটার অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং বন্টন নিয়ে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায় না।
দুই মিনিটে গোসল সারতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

দুই মিনিটে গোসল সারতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দুই মিনিটের জন্যে গোসল সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দেড় মাসের এক সিরিজে তিনটি টেস্ট, ছটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্যে কেপ টাউনে যাওয়ার পর তাদেরকে তড়িঘড়ি করে স্নান সেরে ফেলতে বলার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে শহরের পানির সঙ্কট।

গত ১লা জানুয়ারি থেকে নগর কর্তৃপক্ষ পানি ব্যবহারের উপর কঠোর কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।

এর মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট দলটি ম্যাচ খেলতে সেখানে গেছে। এই খবরটি দিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

শহরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যখন ভারতীয় দল কেপ টাউনে গিয়ে পৌঁছায়। হোটেলে পৌঁছানোর পরই পানি সাশ্রয়ের জন্যে কর্তৃপক্ষের তরফে তাদেরকে এই অনুরোধ করা হয়েছে।

অনুশীলনের পর হোটেলে ফিরে তাদের সকলেই তখন ঘর্মাক্ত ছিলেন এবং গোসলের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতীয় অনেক ক্রিকেটারই এমন জায়গা থেকে এসেছেন যাদের নিজের এলাকাতেও রয়েছে পানির তীব্র সঙ্কট। আর একারণে তারা কর্তৃপক্ষের এধরনের অনুরোধের মর্ম বুঝতে পেরেছেন।

শহরের বাসিন্দারা কতোটুকু পানি ব্যবহার করতে পারবেন তার একটি হিসেব বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বলা হচ্ছে, এক মাসে একটি পরিবার ১০,৫০০ লিটার পানি খরচ করতে পারবে। অথবা এক ব্যক্তি একদিনে ৮৭ লিটার পানি ব্যবহার করতে পারবেন।

কেপ টাউনে পানির সঙ্কটের কারণে এর ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে
শহরের বেশিরভাগ মানুষই কর্তৃপক্ষের এই বিধিনিষেধ মেনে চলছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই লাখেরও বেশি বাড়িতে এখনও নির্ধারিত পরিমাণের চেয়েও বেশি পানি খরচ করা হচ্ছে।

তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই সীমা লঙ্ঘন করলে তাদেরকে ৮০০ ডলার জরিমানা করা হতে পারে।

তবে গোসলের জন্যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কম সময় পেলেও তাদের জন্যে একটি সুখবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। পত্রিকাটি বলছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাতাসে আদ্রতা কম থাকবে এবং এর ফলে পিচ শুকনা থাকবে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা এরকম পিচেই খেলতে বেশি অভ্যস্ত।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবছর ৪৮ হাজার শিশুর জন্ম হবে: সেভ দ্য চিলড্রেন বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবছর ৪৮ হাজার শিশুর জন্ম হবে: সেভ দ্য চিলড্রেন বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নেবে।


সংস্থাটি আশঙ্কা করছে, অস্থায়ী ক্যাম্পে জন্ম হতে যাওয়া এই নবজাতকদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন রোগ ও পুষ্টিহীনতার ফলে মারা যেতে পারে।

এই বিরাট সংখ্যক শিশুর জন্ম প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি মোকাবেলা করা বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের জন্যে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।

গত বছরের অগাস্টের শেষ থেকে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হত্যা ও নিপীড়নের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন প্রায় সাত লাখের কাছে। এদের মধ্যে বড় অংশটি নারী ও শিশু।

সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবছর প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ১৩০টি শিশু জন্ম নেবে।

কক্সবাজারে সংস্থাটির কর্মকর্তা ওলি চৌধুরী বলছেন, জনসংখ্যা এবং সন্তান জন্মদানের হারসহ কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা শিশু জন্মের এই হিসাব করেছেন।

"এখানে গর্ভবতী নারীর সংখ্যা এবং প্রতি ঘরে কতো মানুষ বাস করে, সেটিও আমাদের একটি বিবেচনা ছিল। কারণ প্রায় দশ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে, তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী। এদের মধ্যে প্রজননক্ষম মানুষের সংখ্যা বিচার করলে, সহজেই বলা যায় যে এ বছর প্রায় ৫০ হাজার শিশু জন্ম নেবে।"

আরাকানে বর্মী সেনাবাহিনীর উপর রোহিঙ্গা জঙ্গিদের আবারও হামলা: পরিস্থিতি কি ফের অশান্ত হয়ে উঠছে?

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানি হত্যা: বিচার কি হবে?

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে বিপুল একটি জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান এবং চিকিৎসাসহ সব ধরনের দায়িত্ব নিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

সেই সঙ্গে শিক্ষা ও পুষ্টি নিয়ে উদ্বেগ যেমন রয়েছে, একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের ওপরেও চাপ পড়ছে ব্যাপক।

এখন এই শিশুদের জন্ম প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে কি ধরণের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে?

শিশুকে কোলে নিয়ে ত্রাণের জন্যে অপেক্ষাছবির কপিরাইটBBC BANGLA

শিশুকে কোলে নিয়ে ত্রাণের জন্যে অপেক্ষা
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক ফিলিপ মান বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় মূলত তিন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

"প্রথমত সন্তানসম্ভবা নারীরা যেহেতু নিয়মিত হাসপাতালে যায় নি, তার ফলে ফলে তাদের একটি বড় অংশ হয়তো বাড়িতেই সন্তান জন্ম দেবে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, যেখানে তারা থাকে সেটা প্রত্যন্ত একটি জায়গা এবং সেখান থেকে আট/নয় মাসের গর্ভবতী একজন নারীর চিকিৎসার জন্য কোথাও যাওয়া কঠিন। এছাড়াও নবজাতক শিশুদের পুষ্টি নিয়েও উদ্বেগ আছে।"

আবারও বিয়ে করছেন ইমরান খান, এবার সাধারণ এক নারী

তিনি বলেন, শরণার্থী শিবিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে নতুন শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পয়-নিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে সমস্যা আরো বাড়বে।

তবে নতুন রোহিঙ্গা শিশুর জন্মের হিসাবের ব্যাপারে সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে একমত নয় সরকার। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলছেন, তাদের হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ত্রিশ হাজারের মত।

তিনি এও জানিয়েছেন, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দু'জন রোহিঙ্গা নারীছবির কপিরাইটDAN KITWOOD

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দু'জন রোহিঙ্গা নারী
"শিশুর জন্মের আগে এবং পরে প্রসূতি মায়ের যত্ন, এরপর ডেলিভারিসহ সব ব্যবস্থাই তো আমাদের আছে। প্রসূতি মা ও শিশুর পুষ্টির ব্যাপারেও তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। এসব কার্যক্রম গত পাঁচ মাস ধরেই চলছে।"

মি. সালাম বলছেন, মাতৃমৃত্যু রোধ এবং পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার।

এক্ষেত্রে ক্যাম্পে পুষ্টিকর খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে পুলিশ নিয়ে এতো অসন্তোষ কেনো? বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশে পুলিশ নিয়ে এতো অসন্তোষ কেনো? বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

পুলিশ সপ্তাহ শুরুর প্রেক্ষাপটে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে তুলনামূলক অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ে ডাকাতি, খুন, নারী নির্যাতন, অপহরণের মতো অপরাধের ঘটনার হার কমেছে।







ভালো কাজের পুরস্কার স্বরুপ আইজিপি পদকও পাচ্ছেন এবার ৩২৯ জন পুলিশ সদস্য। তারপরও এই পুলিশ বাহিনীকে নিয়েই প্রচণ্ড অসন্তোষ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা কেন বদলাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরুল হুদার কাছে পুলিশের কাজ মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেজন্য অল্প কিছু লোকের নিয়মবহির্ভূত কাজের প্রভাব অনেক বেশি হয়।

তিনি বলেন, "কেউ যদি অন্যায়ভাবে আটক হয় তার প্রভাব বেশি থাকে। সামান্যতম বিচ্যুতিও মানুষকে প্রভাবান্বিত করে। সেজন্যই হয়তো পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে। অল্প হলেও এর প্রভাব অনেক। পুলিশকে আইনত মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার দেয়া আছে ন্যায়সঙ্গত উপায়ে। কিন্তু সবসময় ন্যায়সঙ্গত উপায়ে সেটা হয়না"।

তিনি বলেন অনেক সময় মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা সঙ্গত কারণেই ক্ষুণ্ণ হয় আর সেজন্য মানুষের ক্ষোভ বেশি থাকে।

কিন্তু সাধারণ মানুষের অনেকেই এতো সহজে বিষয়টি মানতে রাজী নন।

ঢাকার একজন বেসরকারি চাকুরে পুলিশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তার নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি।

বিবিসিকে তিনি বলেন, " একটা আতঙ্কের নাম পুলিশ। আস্থার চেয়ে অনাস্থাই বেশি"।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন তারা নিজেদের জনগণের প্রভু হিসেবে বিবেচনা করে।

কিন্তু পুলিশ নিয়ে এ অভিযোগ আর ভীতি খুব ব্যাপক নাকি বিচ্ছিন্ন কোন বিষয় ? জবাবে আরেকজন ব্যক্তি বলেন, "মাঝে মধ্যে ওনারা দুর্নীতি করে বলেই অনেকে খারাপ বলে, তবে আমরা বিপদে পড়লে তারাই উদ্ধার করবে"।

আরো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলেও পুলিশ সম্পর্কে তারা অন রেকর্ড কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। দু-একজন অবশ্য বলেছেন পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।

কিন্তু পুলিশ নিয়ে আস্থার ঘাটতি এতো ব্যাপক হওয়ার কারণ কি ? জবাবে সংস্থাটি নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামানকে বিবিসি বাংলাকে বলেন, "পুলিশ বলপূর্বক অর্থ আদায় বা ঘুষের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত। আমাদের গবেষণায় ৭০ শতাংশ মানুষই বলেছেন ঘুষ না দিলে কোন সেবাই পাওয়া যাবেনা"।

তার মতে এর সাথে রয়েছে পেশাদারিত্বর ঘাটতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার। নিয়োগ পদোন্নতি বদলীতে পেশাদারিত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজনৈতিক প্রভাব।

তবে পুলিশ সম্পর্কে বহু মানুষের মনে যে অনাস্থা বা ভীতি সেটি কিংবা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ সেটিকে পুলিশ বাহিনী কিভাবে নেয়? তারা কি বিষয়গুলো আদৌ স্বীকার করে বা বিবেচনায় নিয়ে থাকে ?

এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস বলেন , "অন্য সংস্থা যেভাবেই কাজ করুক মানুষের প্রত্যাশা থাকে পুলিশের নজরে কেনো আসেনি। এই যে বিপুল চাহিদা বা প্রত্যাশা পুলিশকে নিয়ে এটি ইতিবাচক। কিন্তু এটি পূরণ না হলেই অনাস্থা তৈরি হয়"।

পুলিশ, বাংলাদেশ

সহেলী ফেরদৌস বলছেন কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবেনা
তিনি বলেন জনবলের ঘাটতি বা লজিস্টিক সাপোর্ট কম থাকায় সেবা প্রত্যাশিত মাত্রায় না গেলে যে অনাস্থা তৈরি হয় সেটিও বিবেচনায় নেয়ার মতো বিষয়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের জন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাড়ছে জনবল, নিরাপত্তা সক্ষমতা।

গঠন করা হয়েছে কয়েকটি বিশেষায়িত ইউনিট, জরুরী সেবার জন্য চালু হয়েছে ট্রিপল নাইন নাম্বার, জনমানুষের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে বাহিনীটি সক্রিয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। কিন্তু সেগুলো ঠিক কতটা কাজে এসেছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেন বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশ সংখ্যা খুবিই কম।

তিনি বলেন, "পুলিশের সংস্কার বিচ্ছিন্নভাবে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ খসড়া আইন পড়ে আছে। জাতীয় পুলিশ কমিশনের মতো কিছু প্রস্তাব ছিলো সেগুলোও হয়নি"।

সোহেলি ফেরদৌস অবশ্য বলছেন পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা চালু রয়েছে যাতে করে বাহিনীর কেউ অপরাধ বা অনিয়মে জড়িয়ে না পড়ে। তারপরেও কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এলে সেটি গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয় জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই।
বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড গড়লো তেতুলিয়া বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড গড়লো তেতুলিয়া বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে দেশের সবচেয়ে উত্তরে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়াতে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বিবিসিকে বলেছেন তেতুলিয়াতে আজ ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন তারা।

এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মিস্টার মান্নান বলছেন বাংলাদেশে তাপমাত্রার যে রেকর্ড সংরক্ষিত আছে তাতে শ্রীমঙ্গলের ২ দশমিক ৮ ডিগ্রিই ছিলো সবচেয়ে কম।

তিনি জানান দেশের দুটি স্থানে আজ তাপমাত্রা তিন ডিগ্রির নীচে নেমে এসেছিলো।

তেতুলিয়া ছাড়া অপরটি হলো সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি।

বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:

তেন্ডুলকারের মেয়েকে হয়রানির দায়ে যুবক গ্রেফতার

মিরপুর স্টেডিয়াম কি নিষিদ্ধ হবার শঙ্কা আছে?

শিক্ষকদের হাতে বেদম মার খেলেন অভিভাবক

আবহাওয়া, 
এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এছাড়া নীলফামারীর ডিমলা ও রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মিস্টার মান্নানের মতে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা শীতল বাতাসের কারণে দেশজুড়ে বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত অঞ্চল জুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

এছাড়া মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের মধ্যাঞ্চলে অর্থাৎ ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে।

আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে খুলনার দক্ষিণ পশ্চিম থেকে শুরু করে বরিশাল, পটুয়াখালী, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি এলাকায়।

মিস্টার মান্নান বলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল বাদ দিয়ে পুরো দেশই আসলে শৈত্যপ্রবাহের কবলে রয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হতে আরও দু একদিন সময় লাগবে।

কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি আর ঢাকায় রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

তবে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কাছাকাছিই থাকবে বেশ কয়েকদিন, বলছেন মিস্টার মান্নান।

আর তাপমাত্রা যাই হোক না কেন জানুয়ারি মাসে পুরো দেশ জুড়েই শীতের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা তাদের।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে অভিভাবককে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশের কক্সবাজারে অভিভাবককে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

বাংলাদেশের কক্সবাজারের সদর উপজেলার খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন অভিভাবককে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।


এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নির্যাতনের পর ওই অভিভাবকের হাত পা থেকে রশি খুলে দেয়া হচ্ছে।

একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি মাটিতে পড়ে আছেন আর তার হাত রশিতে বাঁধা।

নির্যাতনের শিকার ওই অভিভাবকের নাম মো: আয়াতুল্লাহ।

বিবিসিকে তিনি বলেন তার বাচ্চার স্কুলে ভর্তির বিষয়ে কথা বলতে তিনি খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কেজি স্কুলে যান।

"সেখানে বাচ্চার বেতন বাড়ানো ও পরীক্ষার ফল নিয়ে আমার সাথে কেজি স্কুলের প্রধানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পাশের স্কুলের হেডমাস্টার দলবল নিয়ে সেখানে আসেন। এরপর তার চেম্বারের কাছে নিয়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়"।

তিনি জানান তাকে যখন মাটিতে ফেলে এভাবে নির্যাতন করার পাশাপাশি ছবি তোলা ও ভিডিও করা হচ্ছিলো। পরে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

মিস্টার আয়াতুল্লাহ বলেন তিনি আজই থানায় হেডমাস্টার জহিরুল হক সহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন।

অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জহিরুল হক বলেন আয়াতুল্লাহ নিজেই তাকে লাঞ্ছিত করেছে। সেকারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়েছে।

তিনি বলেন, "আমাকে ঘুষি দেয়ায় সবাই উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমিই তাকে উদ্ধার করে আমার রুমে এনেছি। পরে সে আর বেয়াদবি করবেনা মর্মে লিখিত দিয়ে চলে গেছে"।

মিস্টার হক বলেন, "ওখানে যা ঘটেছে তা শিক্ষার্থীরাই করেছে"।

যদিও মো: আয়াতুল্লাহ বলছেন নির্যাতনের পর তার কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত রনজিত কুমার বড়ুয়া বিবিসিকে বলেন কথা কাটাকাটি থেকে আয়াতুল্লাহকে মারধরের ঘটনায় থানায় এজাহারের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভারতে সচিন তেন্ডুলকারের মেয়েকে হয়রানির দায়ে বাঙালি যুবক গ্রেফতার বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

ভারতে সচিন তেন্ডুলকারের মেয়েকে হয়রানির দায়ে বাঙালি যুবক গ্রেফতার বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

ভারতে সচিন তেন্ডুলকারের মেয়েকে হয়রানির দায়ে বাঙালি যুবক গ্রেফতার বিবিসি বাংলা - BBC Bangla 



ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকারের মেয়ে সারাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযোগে বলা হয়, পূর্ব মেদিনীপুরের দেবকুমার মাইতি নামে ৩২ বছর বয়স্ক এই বেকার ব্যক্তি কোনো উপায়ে সচিন তেন্ডুলকারের বাড়ি ও অফিসের ফোন নম্বর যোগাড় করেন এবং বার বার ফোন করতে থাকেন।

পুলিশকে উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, গত ২রা জানুয়ারি মি. মাইতি অন্তত ২০ বার মি. তেন্ডুলকারের বাড়িতে ফোন করেন। তিনি সারা তেন্ডুলকারের সাথে কথা বলতে চান, তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন এবং তা না হলে অপহরণ করারও হুমকি দেন বলে রিপোর্টে বলা হয়।

এর পর বান্দ্রা থানায় এক মামলা করেন সচিন তেন্ডুলকার। এরপর পুলিশ অনুসন্ধান করে মেদিনীপুরে মি. মাইতির অবস্থান চিহ্নিত করে, পরে তাকে গ্রেফতার করে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতে হাজির করার পর মি. মাইতি দাবি করেন, সচিন তেন্ডুলকার তার 'শ্বশুর'।

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, মি. মাইতি দাবি করেন তিনি একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়ে 'প্রথম দর্শনেই সারার প্রেমে পড়েন'।

মি. মাইতির পরিবার বলছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতার সমস্যায় আক্রান্ত।

কিভাবে মি. মাইতি কিভাবে সচিন তেন্ডুলকারের বাড়ির ফোন নম্বর পেলেন, পুলিশ এখন তার তদন্ত করছে।

Featured Post

বাংলাদেশে রাতের গণপরিবহনে নারীরা কতটা নিরাপদ? BBC News বাংলা

বাংলাদেশে নারী যাত্রীদের অনেকেই বলছেন, রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন কিংবা পুরুষ যাত্রীদের দ্বারা শারীরিক কিংবা মানসিক নির্য...

Top international News

loading...

Popular Posts