international

Loading...

‘ঢাকা হাইরা গেলে আমি ব্রা পইরা লাইভে আসমু’ বিবিসি বাংলা - BBC Bangla news

‘ঢাকা হাইরা গেলে আমি ব্রা পইরা লাইভে আসমু’ বিবিসি বাংলা - BBC Bangla news

ঢাকা হাইরা গেলে- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের ফাইনাল আজ। শিরোপা নির্ধারণী এ ম্যাচে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটেসর মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স।

হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু শিরোপার যুদ্ধ।

মাশরাফী-সাকিব এবারই প্রথম একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছেন বিপিএল ফাইনালে। রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস ছাপিয়ে পঞ্চম আসরের ‘ফাইনাল’ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী ও টেস্ট, টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের মধ্যে।

‘ঢাকা হাইরা গেলে আমি ব্রা পইরা লাইভে আসমু’

আর শিরোপা জয়ের মিশনে যদি ঢাকা ডায়নামাইটস জিতে তবে ব্রা পইরা ফেসবুক লাইভে আসবেন। মনিষা জান্নাত নামের এক কথিত মডেল এ ঘোষনা দেন।

ফেসবুকের জনপ্রিয় গ্রুপ ‘মাইরালা গ্রুপে’ তিনি লিখেন, ‘‘ঢাকা হাইরা গেলে আমি ব্রা পইরা লাইভে আসমু, রংপুর কামলারা নাকি ঢাকারে হারাইবো’।

জান্নাতের আইডিতে তার খুব একটা ছবি না পাওয়া গেলেও তার আইডিতে গিয়ে তার সম্পর্কে জানা যায়, তিনি BD Fashion – বিডি ফ্যাশন – এর একজন মডেল। সে সাথে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে পড়ছেন। ফেসবুকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১১৩৮।



ঢাকার জয় নিয়ে দেওয়া তার ওই স্ট্যাটাসে এ ঘন্টায় লাইক পড়েছে তেরশত এবং কমেন্ট পড়েছে হাজারের উপরে। উল্লেখ্য, দুটি দলই তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে উঠেছে ফাইনালে।

‘ঢাকা হাইরা গেলে আমি ব্রা পইরা লাইভে আসমু’





প্রথম সুযোগেই (প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ) কুমিল্লাকে ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে সাকিবের ঢাকা। মাশরাফীর রংপুরকে অবশ্য একটু বেশিই পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানসকে হারিয়ে টপকাতে হয় এলিমিনেটর বাধা। সোমবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তামিমদের ৩৬ রানে হারিয়ে মাশরাফীরা উঠেছে ফাইনালে।
যাত্রীবোঝাই বিমানে বলিউড অভিনেত্রীর যৌন হেনস্তা

যাত্রীবোঝাই বিমানে বলিউড অভিনেত্রীর যৌন হেনস্তা

বলিউড ব্লকবাস্টার দঙ্গল-এ কিশোরী কুস্তিগিরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যে অভিনেত্রী সেই জায়রা ওয়াসিম বলছেন, ভারতে বিমানের এক ফ্লাইটে তার ওপর যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে।


তিনি বলছেন, দিল্লি থেকে মুম্বাই যাওয়ার পথে আধো ঘুমের মধ্যে তিনি টের পান যে পেছনের সীটে বসা একজন 'মধ্যবয়স্ক' মানুষ তার পিঠে এবং ঘাড়ে পা দিয়ে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে। এটি চলে ৫-১০ মিনিট।
তিনি ইনস্টাগ্রামে এই ঘটনার ভিডিও তুলে রাখেন। বিমান থেকে নামার পর মিস ওয়াসিম ভিডিওটি শেয়ার করেন।
এসময় থাকে খুবই বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল।
জায়রা ওয়াসিমের অভিনীত দঙ্গল ছবিটি গত বছর মুক্তি পায় এবং এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি।
তার অভিনয়ের জন্য চলতি বছর তিনি জাতীয় পুরষ্কারও অর্জন করেন।
মৌনতা ভঙ্গাকারীরা টাইমের 'সেরা ব্যাক্তিত্ব'
চকোলেটের লোভ দেখিয়ে স্কুলশিশুকে যৌন নির্যাতন
হলিউডে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের মিছিল
যৌন অত্যাচারের এই ঘটনা সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর বিমান সংস্থা এয়ার ভিস্তারা দু:খ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে।
গত কয়েকমাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েক জন নারী যৌন অত্যাচার ও হেনস্তার অভিযোগ করেছেন।
এ নিয়ে  হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিশ্বব্যপী এক আন্দোলন গড়ে উঠেছে।
জায়রা ওয়সিমের অভিনীত প্রথম বলিউড ছায়াছবি দঙ্গল ছিল খুবই ব্যবসা সফল

জায়রা ওয়সিমের অভিনীত প্রথম বলিউড ছায়াছবি দঙ্গল ছিল খুবই ব্যবসা সফল।
শনিবার মাঝরাতের কিছু সময় পর জায়রা ওয়াসিম ওই ভিডিওটি পোস্ট করার পর সারা ভারত থেকে হাজারে হাজারে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিনেত্রীকে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।
যেভাবে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে ওই লাঞ্ছনাকারীর পরিচয় ফাঁস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু মানুষ।
'দঙ্গল' ও 'সিক্রেট সুপারস্টার' নামে দুটি ব্লকবাস্টার ছবির নায়িকা জায়রা ভারত-শাসিত কাশ্মীরের মাত্র সতেরো বছরের এক কিশোরী, আর বলিউডে আবির্ভাবের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কাশ্মীরের পোস্টার গার্লে পরিণত হয়েছেন।
এয়ার ভিস্তারা দিল্লি-মুম্বই ফ্লাইটে তার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে জায়রা ওয়াসিমের এই ভিডিও সারা দেশে তুমুল হইচই ফেলে দেওয়ার পর রবিবার বিকেলে এই যৌন হয়রানির ঘটনায় মুম্বই পুলিশে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ভারতের বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় তথা ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন এয়ার ভিস্তারার কাছে গোটা ঘটনাটির ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সেরা জেলা প্রশাসক হলেন একজন নারী

বাংলাদেশের সেরা জেলা প্রশাসক হলেন একজন নারী

অফিসে কাজের পদ্ধতি বদলে দিয়ে কিভাবে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় সেটির উদাহরণ রাখলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।


সেজন্য এ বছর শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট ডিভিশন তাঁকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
উম্মে সালমা তানজিয়া কেন দেশ সেরা জেলা প্রশাসক হলেন? কী করেছেন তিনি?
ক্যাবিনেট ডিভিশন বলছে, ফরিদপুর জেলার নানা ধরনের সরকারী সেবা মানুষের জন্য সহজলভ্য করেছেন জেলা প্রশাসক।
বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস এবং জেলা প্রশাসনের অফিসে সেবার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে দাবী করা হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন সরকারী অফিসে হয়রানী মুক্ত নাগরিক সেবা দেবার লক্ষে মিস তানজিয়া একটি শ্লোগান নির্ধারণ করেন। সেটি হচ্ছে, 'সুশাসনে গড়ি সোনার বাংলা'।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, জেলা প্রশাসনের অফিসে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যাতে দাপ্তরিক কাজে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনা যায়।
প্রতিদিন সকালে একঘণ্টা কর্মকর্তাদের জন্য একটি স্টাডি সার্কেলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারের বিভিন্ন আইন-কানুন নিয়ে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা।
১৯৯৮ সালে প্রশাসনে যোগ দেয়া এ কর্মকর্তা বলেন, "মানুষ মনে করে টাকা ছাড়া কাজ হবে না। একটা একটা মাইন্ডসেট হয়ে গেছে। অবশ্য এর কারণও আছে। আমি চাই এ ধারনা পরিবর্তন করতে।"
তিনি মনে করেন, কাজের পদ্ধতি বদলে দেবার মাধ্যমে দুর্নীতি মোকাবেলা সম্ভব।
জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন সেবা চালু করেছেন তিনি।
ফলে আগের তুলনায় কাজের গতি যেমন বেড়েছে তেমনি অর্থ লেনদেনের ঘটনাও কমে আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন প্রশাসনের এ নারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন কাজ করতে গিয়ে নারী হিসেবে বাড়তি কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় তাকে।
বেশ কিছুদিন আগে তিনি একটি বিষয় সমাধানের জন্য স্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদদের তাঁর অফিসে আসতে বলেন।
"তাঁরা তখন বললো, ওনার কাছে কী যাব? উনি তো মহিলা," বলছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক।
ধীরে-ধীরে এ ধরনের মানসিকতার বদল হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ঢাকায় চলমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরষ্কার দেয়া হবে।
ট্রাম্পের ঘোষণা জঙ্গিদের জন্যে অক্সিজেন: সৌদি আরব

ট্রাম্পের ঘোষণা জঙ্গিদের জন্যে অক্সিজেন: সৌদি আরব

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার পর সৌদি আরব সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে এ ঘোষণা চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে আরো চাঙ্গা করে তুলবে।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পর ফিলিস্তিনে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। শনিবার ভোরে ইসরায়েল গাজায় আরো দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে যাতে দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, উপসাগরীয় এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে মি ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তা ইরান এবং আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের চাঙ্গা করে তুলবে।
বাহরাইনে মানামা ডায়ালগ ইভেন্ট নামে এক বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে সৌদি প্রিন্স তুরকি আল ফয়সালের কথায় তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল।
তিনি বলছেন, এ ঘোষণা জঙ্গি গ্রুপগুলোর জন্য অক্সিজেনের মতো কাজ করবে এবং তা মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
প্রিন্স তুরকি আল ফয়সাল গত ২০ বছর ধরে সৌদি আরবের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সম্মেলনে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলির একটি প্রবন্ধ পড়ার কথা ছিল কিন্তু তিনি আসেন নি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়ে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে।
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সিদেরত শহরে একটি ফিলিস্তিনি রকেট এসে পড়ে । এতে কেউ আহত হয় নি তবে কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, শুক্রবার গাজা থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে মোট তিনটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। এবং এর পর শনিবার ভোরে ইসরাইল মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালায়।


ইসরাইল বলছে, তারা গাজা এলাকায় হামাসের অস্ত্র কারখানা এবং অস্ত্রের গুদামের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। হামাস বলছে, তারা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে দু,জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ বের করেছে।
বিমান হামলায় অন্তত ১৬০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়।
এ ছাড়া শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময় ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে কমপক্ষে দু' জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে জেরুসালেমেক ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেন।
ইসরায়েল সবসময়ই বলে আসছে জেরুসালেম তাদের রাজধানী। আর ফিলিস্তিনিরাও পূর্ব জেরুসালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে মনে করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়।
ভারতে হরিয়ানা রাজ্যে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় চাঞ্চল্য

ভারতে হরিয়ানা রাজ্যে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় চাঞ্চল্য

ভারতে হরিয়ানা রাজ্যে ৬ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।



অভিযোগে বলা হয়, গত শুক্রবার রাতে মেয়েটি অপহৃত হবার পর রোববার বাড়ির কাছেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার দেহে এত গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল যে অনেকেই একে ২০১২ সালে দিল্লিতে একটি বাসে ধর্ষণের ঘটনার সাথে তুলনা করেছেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন লোককে এর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের মধ্যে তিন জন মেয়েটির বাবার আত্মীয়।
নিহত মেয়েটির মা বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, ২৪ ঘন্টা হয়ে গেল কিন্তু পুলিশ কাউকেই এখনো ধরতে পারে নি। আত্মীযস্বজনরা বলেছেন, স্থানীয় পুলিমের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই। তারা কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করছেন।
বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:
সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি আরব
এক দেশে প্রায় ৬০ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরা
পূর্ব জেরুসালমকে ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দিন: আরব লিগ
হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান

ধর্ষণের পর হত্যা করা মেয়েটির মৃতদেহ নিয়ে স্থানীয় লোকজন
জনগণের ক্ষোভ বাড়তে থাকায় সরকার একটি বিশেস তদন্ত দল গঠন করেছে। ওই জেলার স্থানীয় লোকজন, রাজনৈতিক নেতা এবং মানবাধিকার কর্মীরা বিক্ষোভ জানাতে সেখানে জড়ো হয়েছেন। বুধবার সকালের মধ্যে কেউ গ্রেফতার না হলে তারা জোরালো বিক্ষোভ শুরুর হুমকি দিয়েছেন।
শনিবার সকালে মেয়েটির মা বুঝতে পারেন যে তার একটি মেয়ে নিখোঁজ। মেয়েটির বাবা ফেলে দেয়া জিনিসপত্র কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের আরো তিন সন্তান রয়েছে।
পুলিশ সন্দেহ করছে যে হয়তো নিকটবর্তী কোন বস্তি থেকে ধর্ষণকারীরা এসেছিল।
হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান?

হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান?

পূর্ব জেরুসালেমে কিছুদিন আগে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল হারাম আল-শরিফে ঢোকার পথে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মেটাল-ডিটেক্টর সহ নিরাপত্তা জোরদার করায় - যা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সহিংসতায় তিনজন ফিলিস্তিনি ও তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়। আহত হন আরো অনেকে।


কিন্তু এই হারাম আল-শরিফ জায়গাটি এত স্পর্শকাতর কেন?
কারণ এই জায়গাটি ইসলাম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি - এই তিন ধর্মের কাছেই পবিত্র স্থান, এবং একে নিয়ে শত শত বছর ধরেই এ টানাপোড়েন চলছে।
ইহুদিদের কাছে হারাম আল-শরিফ এলাকাটির নাম 'টেম্পল মাউন্ট' এবং এটিই তাদের ধর্মে সবচাইতে পবিত্র স্থান।
ইহুদিরা বিশ্বাস করে, এখানেই নবী আব্রাহাম তার পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। এখানেই ছিল ইহুদিদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র মন্দির - যা ৭০ খ্রীষ্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রীষ্টান ব্যাসিলিকাও ছিল যা একই সাথে ধ্বংস হয়।
সেই মন্দিরের শুধুমাত্র পশ্চিম দিকের দেয়ালটিই এখনো টিকে আছে, এবং এটিই এখন ইহুদিদের ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান।
বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:
আদালতের নির্দেশ শুনে হতভম্ব হয়ে যাই: ইউএনও তারিক সালমন
জোর গুজব: নেইমার কি বার্সেলোনা ছেড়ে যাচ্ছেন?


আল-আকসা মসজিদ
অন্যদিকে মুসলিমদের কাছে এটি 'হারাম আল-শরিফ' এবং ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র স্থান। প্রথম যুগের মুসলিমরা মক্কার আগে এর দিকে ফিরেই নামাজ পড়তেন ।
এখানে প্রথম ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর, পরে ৭০৫ খ্রীষ্টাব্দে এখানে প্রথম বড় আকারে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
দু'দফা ভুমিকম্পে দুবার ধ্বংস হয়ে গেলে তা পরে পুন:নির্মাণ করা হয়। এখন যে মসজিদটি আছে তা নির্মিত হয় ১০৩৫ সালে।
এর অনতিদূরেই আছে সোনালী গম্বুজবিশিষ্ট 'ডোম অব দি রক' বা 'কুব্বাত আল-শাখরা'। ইহুদিদের মন্দির ধ্বংস করে রোমানরা এখানে দেবতা জুপিটারের একটি মন্দির তৈরি করেছিল - যেখানে পরে ৬৮১ সালে উমাইয়া খলিফা আবদ-আল মালিকের সময় নির্মাণ করা হয় এই 'ডোম অব দি রক'।
ক্রুসেডাররা ১০৯৯ সালে এ জায়গাটি দখল করে নিলে তারা 'ডোম অব দি রক'কে একটি গির্জা হিসেবে এবং আল-আকসাকে রাজপ্রাসাদ, ঘোড়ার আস্তাবল ও নাইট টেম্পলারদের দফতর হিসেবে ব্যবহার করে।


ওয়েস্টার্ন ওয়াল - যেটি ইহুদিদের পবিত্র স্থান
আটকোণা এই ডোম অব দি রকের ভেতরেই রয়েছে সেই পাথরের ভিত্তি - যেখান থেকে ইসলামের নবী মুহাম্মদ মিরাজে গিয়েছিলেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে জেরুসালেম ও পশ্চিমতীর দখল করে নেবার আগে এটি নিয়ন্ত্রণ করতো জর্ডন। এখন পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েল অধিকৃত। তবে আল-আকসা বা টেম্পল মাউন্ট এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে একটি জর্ডনী-ফিলিস্তিনী ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান।
এখন ইসরায়েলিরা টেম্পল মাউন্ট এলাকায় যেতে পারে, কিন্তু এখানে তাদের প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ।




ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখানে যে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছে - এটিকে ফিলিস্তিনিরা এখানে ওয়াকফের কর্তৃত্বের লংঘন এবং ইসরায়েলি দখলদারির দৃষ্টান্ত বলে আখ্যায়িত করছেন।
তবে ইসরায়েল এটিকে একান্তই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখাতে চাইছে, কারণ মসজিদ এলাকাতেই এক সপ্তাহ আগে এক আক্রমণে দু'জন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হয়।
কিন্তু এই আল-আকসা এলাকাটিতে ইসরায়েলি কর্মকান্ড প্রায় প্রতিবারই বিক্ষোভ-সহিংসতার জন্ম দিয়েছে।
আল-আকসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের এক বিতর্কিত সফরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় 'ইন্তিফাদা' বা গণঅভ্যুত্থান - যাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
এ জায়গাটি এতই স্পর্শকাতর যে এখানে কোন সহিংস ঘটনা শেষ পর্যন্ত আরো একটি ইন্তিফাদা ডেকে আনবে কিনা - এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেন না।
নিউইয়র্কে হামলাকারী 'বাংলাদেশী অভিবাসী': পুলিশ

নিউইয়র্কে হামলাকারী 'বাংলাদেশী অভিবাসী': পুলিশ

আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ততম বাস স্টেশনে ঘটা এক বিস্ফোরণকে 'সন্ত্রাসী আক্রমণের চেষ্টা' বলে বর্ণনা করেছেন শহরটির মেয়র বিল দা ব্লাসিও।



বিস্ফোরণের পর আহত অবস্থায় আকায়েদ উল্লাহ নামে গায়ে বোমা-বাঁধা এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম তাকে 'বাংলাদেশী অভিবাসী' বলে উল্লেখ করছে।
টার্মিনালে সকালের ভিড়ের মধ্যে এক যুবক তার গায়ে-বাঁধা একটি 'নিম্নস্তরের-প্রযুক্তিতে' তৈরি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে আক্রমণকারীসহ চার জন আহত হয়।
সন্দেহভাজন এই ২৭ বছর বয়স্ক যুবকের নাম আকায়েদ উল্লাহ বলে পুলিশ বলছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ একাধিক মার্কিণ সংবাদ মাধ্যম পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলছে, আকায়েদউল্লাহ একজন বাংলাদেশী অভিবাসী এবং ব্রুকলিন এলাকার বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কথিত সন্দেহভাজন লোকটি মাটিতে পড়ে আছে, তার কাপড়চোপড় ছেঁড়া এবং শরীরের ওপরের অংশ ক্ষতবিক্ষত।

সংবাদ মাধ্যমে বলা হয় - এই ব্যক্তি হয়তো একটি আত্মঘাতী হামলা চালাতে চেয়েছিল । তার দেহে পাইপবোমা এবং তার বাঁধা ছিল।
পাইপ বোমাটি আংশিকভাবে বিস্ফোরিত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
মেয়র দা ব্লাসিও বলেছেন, এটিকে মাত্র একজন আক্রমণকারীর কাজ বলেই তারা মনে করছেন।


নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ার থেকে এই বাস টার্মিনালটি দূরে নয়
বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকায় লোকজনের ছুটোছুটি-হুড়োহুড়ি শুরু হয়।
সন্ত্রাস দমন পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর লোকেরা শত শত লোককে বাস টার্মিনাল এবং তার নিচের পাতাল রেল স্টেশন থেকে বের করে নিয়ে আসে।
ঘটনার পর টার্মিনালটি এবং টাইমস স্কোয়ার সাবওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার কথা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানো হয়েছে।
জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতির পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতির পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে জেরুসালেম স্বীকৃতি দেয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি আর ইউরোপীয় ইউনিয়নও এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতি অসহযোগিতামুলক।



তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেছেন, জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষা করার বদলে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করছে।
নিকি হ্যালে বলছেন, "বহুবছর ধরেই জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি অসংযতভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে যা কিনা ক্ষতি এনেছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে থাকতে পারেনা।"
পুরো বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র এমন অবস্থান নিলো যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা জানানো হয় বৈঠকে।

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে পাল্টা অভিযোগ করেছেন, জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করছে
ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আবারো বিষয়টির মীমাংসায় দুই দেশের আলোচনার প্রতি জোড় দেন। আর ফরাসী প্রতিনিধি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্যেই আরো ভয়ানক পরিণতি নিয়ে আসছে। জরুরি বৈঠকে কার্যত যুক্তরাষ্ট্র সবার প্রতিপক্ষে পরিণত হয়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে মদদ দেবার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, "এখানে খারাপ কাজের সহযোগিতাকে স্বীকার করতে হবে। অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের দমন পীড়ন আর বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত আরো উস্কে দিয়েছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার শান্তির মধ্যস্থতাকারীর অবস্থান হারিয়েছে।"
এই স্বীকৃতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশ, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে

এই স্বীকৃতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশ, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে
তবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানোন বুধবারে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এদিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে জেরুসালেমের মার্কিন স্বীকৃতির প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো ফিলিস্তিনে বিক্ষোভ চলছে।
দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর সেডেরোটে গাযা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে, অন্যদিকে ইসরায়েলি বিমান গাযার কিছু লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গ পেয়াজ: 'বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা সকল অজুহাতেই দাম বাড়ায়'

প্রসঙ্গ পেয়াজ: 'বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা সকল অজুহাতেই দাম বাড়ায়'

বাংলাদেশে গত বছর এই সময়ে পেয়াজের যে দাম ছিলো এখন তা তিনগুণ বেড়েছে। দেশি পেয়াজ আর ভারতীয় পেয়াজ দুটোরই দামেরই মোটামুটি একই অবস্থা।
















বাজারে গিয়ে দেখা গেলো দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় আর ভারতীয় পেয়াজের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
শুধু আগস্ট থেকেই এ পর্যন্ত বেশ বড় ধরনের দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
দেশের সবচাইতে বড় পাইকারি বাজারের একটি ঢাকার কাওরান বাজারে অলিগলি ভর্তি হরেক রকম সামগ্রী।
একেক রকম পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা। স্কুল শিক্ষক ড্যানিয়েল সিকদার সেখানে এসেছেন মাসের বাজার করতে। তিনি বলছেন, "পিয়াজ ছাড়া তরকারি সম্ভবই না। পেয়াজ ছাড়া বাঙালির চলেই না। আমরা পান্তাভাতেও পেয়াজ খাই।"
বাংলাদেশে যে জিনিসগুলোর দাম বাড়লে ভোক্তারা বিশেষভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান তার মধ্যে পেয়াজ একটি।
পেয়াজ না থাকলে সেটি যেমন রান্নায় প্রভাব ফেলে তেমনি মানুষজনের পকেটেও তার প্রভাব পড়ে। আসমা মাহফুজ নামের এক গৃহিনী বলছেন, "দাম তো অবশ্যই আমাদের ক্রয় ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। যেমন ধরুন আগে আমি ২০ কেজি কিনতাম কিন্তু এখন ৫ কেজি কিনলাম। কারণ সীমিত আয় আমাদের।"
বাংলাদেশে পেয়াজ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত পাবনা জেলা। কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেলো দেশি পেয়াজের বেশিরভাগই ঐ এলাকা থেকে এসেছে।
পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার নলডাঙা গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলছেন, এ বছর দেশি পেয়াজের ফলন কম আর আবহাওয়ার কারণে পেয়াজ উঠতেও সময় নিচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
তিনি বলছেন, "একে তো এবার বেশ বন্যা ছিলো। তারপর ২০ থেকে ২৫ দিন আগে যে বৃষ্টিটা হলো তাতে পেয়াজের ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন অন্য বছরের চেয়ে বেশী খারাপ। যে পেয়াজ প্রতি বিঘায় ৪০ মন হবে তা এবছর আমার ধারনা ২০ থেকে ১৫ মন কমে যাবে।"
বাজারে নতুন দেশি পেয়াজ যেমন এখনো ওঠেনি তেমনি পুরনো পেয়াজের ঘাটতিও রয়েছে। আড়তদাররা বলছেন, পেয়াজ ফুরিয়ে গেছে।
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টনের মতো পেয়াজ লাগে। পেয়াজের এই চাহিদার একটি বড় অংশ মেটায় ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজ।
কাওরান বাজারের আড়তদার জুয়েল রানা বলছেন, ভারতের নির্ধারিত রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে।
বাজারে নতুন দেশি পেয়াজ যেমন এখনো ওঠেনি তেমনি পুরনো পেয়াজের ঘাটতিও রয়েছে।
বাজারে নতুন দেশি পেয়াজ যেমন এখনো ওঠেনি তেমনি পুরনো পেয়াজের ঘাটতিও রয়েছে
তিনি বলছেন, "ভারতে দাম বাড়ার সাথে সাথে সেখান থেকে পেয়াজ আসছেও কম। সেখানেও ফসল কম হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা বলছিলেন।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সকল অজুহাতেই দাম বাড়ায়- বলছিলেন ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান।
তার কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম সেটা মোকাবেলায় ঠিক কি করতে হবে? তিনি বলছেন, "আমাদের ব্যবসায়ীরা অনেকটা লাগামছাড়া। আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির প্র্যাকটিস করছি তো, আমাদের ব্যবসায়ীরা পরিপূর্ণ মুক্ত। লাভের জন্য তারা সকল অজুহাত কাজে লাগায়।"
তিনি বলছেন, "যেহেতু পেয়াজের জন্য আমরা ভারতের উপরে নির্ভরশীল সেটি ঠেকাতে আমোদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। পেয়াজের মৌসুমে আমাদের চাষিরা দাম পায় না। ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির উপর যদি ট্যাক্স বসানো হয় তাহলে ভোক্তারা সহনীয় পর্যায়ে যেমন পেয়াজ পাবে তেমনি কৃষকও পেয়াজ উৎপাদনে আগ্রহী হবে কারণ সে দাম পাবে।"
সেই সাথে পচনশীল পেয়াজ সংরক্ষণে স্টোরেজ ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলছেন তিনি।
তবে আজ শনিবার বাজার ঘুরে আশার কথা যা ছিলো সেটি হলো আগামী দু সপ্তাহ পর দেশী পেয়াজ বাজারে আসা শুরু হলে দাম হয়তো কিছুটা কমতে শুরু করবে- কৃষক ও বিক্রেতারা তেমন ধারণাই দিচ্ছেন।
x
x
x
আইএসের সাথে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করলো ইরাক

আইএসের সাথে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করলো ইরাক

জঙ্গী গোষ্ঠী আইএসের সাথে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদী।


এক টিভি ভাষনে মি. আল-আবাদী রবিবারে দেশটিতে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করে সেদিন একটি বিজয় মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৪ সালে যে রক্তাক্ত লড়াইয়ের শুরু অবশেষে তার অবসান ঘটেছে।
দীর্ঘ চার বছর রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠী আইএসের কবল থেকে নিজেদের ভূমি পূর্নদখল করেছে ইরাকি সেনারা।
সব এলাকা নিজের নিয়ন্ত্রনে আসার পরই আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ইরাক।
ইরাকের এই যুদ্ধজয়ের ঘোষণার মাত্র দুইদিন আগে রাশিয়ার সৈন্যরা সিরিয়ায় আইএসকে সম্পূর্ণ পরাজিত করার কথা জানিয়ে বলেছে, সিরিয়ায় তাদের অভিযান সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিরাট অঞ্চল দখল করে সেই অঞ্চলে 'খেলাফত' প্রতিষ্ঠা করার দাবী করে ইসলামী উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আইএস।
তবে গত দু'বছরে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো পরাজয় বরন করেছে এই গোষ্ঠী।
বিবিসি'র আরব অ্যাফেয়ার্স এডিটর সেবাশ্চিয়ান আশার মনে করছেন, ইসলামিক স্টেটের সাথে সরাসরি লড়াইয়ের সমাপ্তি হলেও মতাদর্শের লড়াই সহজে শেষ হবে না।
আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সমাপ্ত হলেও, নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য, এখনো ছোটোখাটো মাত্রায় বিচ্ছিন্নভাবে আইএস যে বিভিন্ন সময়ে হামলা চালাতে পারে সেই আশঙ্কার কথাও তিনি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
ওদিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদী বাগদাদে বলেছেন, "এই বিজয়কে সুদৃঢ় করা প্রয়োজন। আর এ জন্য মুক্ত করা অঞ্চলকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে এবং চাকরির সুযোগ তৈরি করতে হবে। এইসবের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ও সত্যিকারের জাতীয় সমন্বয় সাধন করতে হবে।"
ইসলামিক স্টেট যেন নতুনভাবে আবারো মাথা চাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
যুদ্ধের এই সমাপ্তিকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আইএসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ চলবে

মসুল পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ ছিল সবচেয়ে বেশী রক্তক্ষয়ী
আইএস-ইরাক যুদ্ধ নিয়ে কিছু তথ্য
•জানুয়ারি ২০১৪: আইএস সৈন্যদের ফালুজা ও রামাদি দখল
•জুন ২০১৪: ছয়দিন যদ্ধের পর মসুল দখল করে আইএস
•২৯ জুন ২০১৪: আবু বকর আল-বাগদাদিকে খলিফা করে নিজেদের নাম ইসলামিক স্টেট ঘোষণা করে আইএস
•আগস্ট ২০১৪: সিঞ্জর দখল। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ সিঞ্জর পর্বতমালার দিকে আত্মগোপন করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান আক্রমণ শুরু।
•মার্চ ২০১৫: ইরাকি সৈন্য ও তাদের শিয়া মিত্রবাহিনীর তিক্রিত পুনরুদ্ধার
•ডিসেম্বর ২০১৫: রামাদি পুনরুদ্ধার
•জুন ২০১৬: ফালুজা পুনরুদ্ধার
•অক্টোবর ২০১৬: ইরাকি সৈন্য, শিয়া মিলিশিয়া, কুর্দিশ সেনা ও আন্তর্জাতিক মিত্রবাহিনীর মসুল অবরোধ
•জুলাই ২০১৭: মসুল পুনরুদ্ধার
•ডিসেম্বর ২০১৭: আইএস'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঘোষণা ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর
পুরো দেশে ইতোমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে প্রায় সতেরো কোটি ক্যামেরা

পুরো দেশে ইতোমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে প্রায় সতেরো কোটি ক্যামেরা



নিরাপত্তা কিংবা নজরদারি- যেভাবেই বলা হোক না কেন আধুনিক বিশ্বে এর অন্যতম অনুষঙ্গ সিসিটিভি ক্যামেরা।

চীন তাই পরিকল্পনা নিয়েছে পুরো দেশকেই ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার।
গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় 'ক্যামেরা নজরদারি নেটওয়ার্ক'।
পুরো দেশে ইতোমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে প্রায় সতেরো কোটি ক্যামেরা।
আর পরবর্তী তিন বছরে স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে আরও প্রায় ৪০ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরা।
যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন পুলিশ কন্ট্রোল রুম।
চীন

বিবিসির একজন সংবাদদাতা সম্প্রতি এ ধরনের ক্যামেরা দিয়ে গুইয়াং শহরের একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কি ধরণের কাজ হয় তা দেখার সুযোগ পেয়েছেন।
এখানে শহরের অধিবাসীদের প্রত্যেকের ছবিসহ তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আছে।
পুরো চীন জুড়েই স্থাপন করা ক্যামেরার রয়েছে বিশেষ দক্ষতা যাতে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কিছু ক্যামেরার মনোভাব বুঝতে পারার ক্ষমতা অর্থাৎ ফেস রিডিং দক্ষতা আছে।
আবার কিছু ক্যামেরা বয়স, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা করতে পারে।
চীনেই বহু কারখানায় তৈরি হচ্ছে মুখ দেখে সনাক্ত করতে পারে এমন ক্যামেরা।
এটা একটা সুযোগ ভালো কিছু করার: সাকিব আল হাসান

এটা একটা সুযোগ ভালো কিছু করার: সাকিব আল হাসান


এটা একটা সুযোগ ভালো কিছু করার: সাকিব আল হাসান

পুনরায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক হবার পর প্রথমবারের মতো কথা বললেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব বলেন, 'অধিনায়কত্ব একটা বড় দায়িত্ব, শেষ টেস্ট সিরিজগুলিতে আমরা ভালোই করেছি, তাই সেটা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ থাকবে।'
'প্রতিটা সিরিজ বা টুর্নামেন্টই কঠিন। দেশে আমরা যেভাবে খেলছি, দেশের বাইরে চ্যালেঞ্জটা বেশি।'
'এটা একটা সুযোগ ভালো কিছু করার, কেউ না কেউ তো শুরু করবেই, এখন আমরা যেভাবে খেলছি সেটা চালিয়ে গেলে ভালো কিছু হবে বলেই আমি মনে করি।'
এর আগের মেয়াদে অধিনায়ক ছিলেন ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। সেবার সাকিবের নেতৃত্বে মোট ৯ টি টেস্টের মধ্যে ৮ টি তে হেরেছে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে একটিতে। এরপর মুশফিকুর রহিমকে অধিনায়ক করা হয় ক্রিকেটের টেস্ট ফরম্যাটে।
সাকিব বলেন, 'আগের মেয়াদে কি হয়েছিলো মনে নেই। এই দল অনেক পরিণত, অতীত বা ভবিষ্যত নয় বর্তমান নিয়েই ভাবতে চাই আমি।'
জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব উপভোগ করেন কি না, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'উপভোগের চেয়ে আসলে দায়িত্বটাই বেশি, আমার কাছে মনে হয় দায়িত্বটা সেরা উপায়ে পালন করতে পারি।'
টেস্টে সাকিবের ডেপুটি হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদকে নিয়ে সাকিবের মন্তব্য, 'আমরা যারা দলের সিনিয়র, সবাই মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই। যখন মাঠে খেলতে নামি কে অধিনায়ক সেটা আমরা ভাবি না, বিপিএলে রিয়াদ নিজেকে ভালো অধিনায়ক হিসেবে প্রমান করেছেন। তাই আমার জন্য অনেক সহজ হবে।'
ভারতে হিন্দু করসেবকরা যেভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মহড়া দিয়েছিল বিবিসি বাংলা - BBC Bangla news

ভারতে হিন্দু করসেবকরা যেভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মহড়া দিয়েছিল বিবিসি বাংলা - BBC Bangla news

ভারতে হিন্দু করসেবকরা যেভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মহড়া দিয়েছিল

১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যা শহরে সপ্তদশ শতকে তৈরি এক ঐতিহাসিক স্থাপনা, বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছিল উন্মত্ত হিন্দু জনতা। এ ঘটনার পর ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে তাতে নিহত হয় প্রায় দুহাজার মানুষ। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার প্রস্তুতি চলছিল আগে থেকেই এবং ঘটনার আগের দিন একদল হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক এটির 'ড্রেস রিহার্সেল' দিয়েছিল। আলোকচিত্র সাংবাদিক প্রভীন জৈন ছবি তোলার জন্য এই হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকদের অনুসরণ করছিলেন। সেদিনের ঘটনার অনেক ছবিও তুলেছেন তিনি। প্রভীন জৈন বিবিসির কাছে বর্ণনা করেছেন সেদিনের ঘটনাবলী:
আমি অযোধ্যা এসে পৌঁছাই ১৯৯২ সালের ৪ ডিসেম্বর। সেই সন্ধ্যায় অযোধ্যা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।
আমি তখন 'দ্য পাইওনীয়ার' পত্রিকায় কাজ করি। তারা আমাকে এই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠিয়েছে। হিন্দু কর সেবক এবং উগ্রপন্থী হিন্দু নেতাদের যে দলটি বাবরি মসজিদ চত্ব্বরে সমবেত হবে, আমাকে তাদের ছবি তুলতে হবে।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) হাজার হাজার কর্মী তখন সেখানে জড়ো হয়েছে। এই দলটি ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। ভারতে যে সব হিন্দু দল এবং গোষ্ঠী সক্রিয়, তাদের আদর্শগত নেতৃত্বে আছে এই আরএসএস। এসব দলের মধ্যে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপিও, যারা এখন ভারতের শাসনক্ষমতায়।
হিন্দু গোষ্ঠীগুলো মনে করে বাবরি মসজিদ যেখানটায় তৈরি করা হয়েছে, সেটি আসলে হিন্দু দেবতা রামের জন্মভূমি। মসজিদের কাছে তারা একটি হিন্দু মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করছিল। হিন্দু নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা মসজিদ স্পর্শ করবেন না। আর তাদের কর্মসূচী মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং সেখানে একটি ধর্মীয় প্রার্থনা আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
একজন বিজেপি এমপির সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, ৫ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার একটা মহড়া হবে।
তিনি আমাকে আরও জানিয়েছিলেন, শীর্ষ নেতারা তাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এই মহড়ায় যেন সাংবাদিকরা কোনভাবেই হাজির থাকতে না পারে।
তিনি আমাকে বললেন,"তবে আপনি আমার বন্ধু এবং আমি আপনাকে বন্ধু হিসেবে এই তথ্যটা দিলাম।"
আমি তখন ছদ্মবেশে এই হিন্দু করসেবকদের সঙ্গে মিশে গেলাম। আমার মাথায় পট্টি বাঁধা, গায়ে গেরুয়া রঙের স্কার্ফ। জ্যাকেটের গায়ে সাঁটা একটা ব্যাজ, যা দেখে সবাইকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হবে। মসজিদের অল্প দূরেই একটা ফুটবল মাঠের সমান একটা জায়গায় সবাই জড়ো হচ্ছিল। আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হলো। হাজার হাজার মানুষ তখন সেখানে জড়ো হয়েছে যাদের সবার মাথায় পট্টি বাঁধা এবং গায়ে গেরুয়া বসন। ব্যাজ পরা হিন্দু করসেবকরা পুরো জায়গাটি ঘিরে রেখেছে।
যে আমাকে সেখানে ঢুকতে সাহায্য করেছিল, সে আমাকে বলেছিল, একমাত্র এভাবেই আপনি এই মহড়ার ছবি তুলতে পারবেন। "আমার কাছাকাছি থাকুন, অন্য করসেবকদের মতো শ্লোগান দিন, ওদের সঙ্গে মিশে যান। এতে করে আপনি নিরাপদও থাকবেন।"
তবে আমি হঠাৎ দেখলাম একটা মোটাসোটা লোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার ক্যামেরা বন্ধ করতে বলছে। আমি আমার বুকে লাগানো ব্যাজ দেখিয়ে আর সবার মতো জোরে জোরে শ্লোগান দিতে থাকলাম। তখন লোকটি মাথা ঝাঁকিয়ে দূরে দাঁড়ানো একদল মানুষের কাছে যেতে ইঙ্গিত করলো।
কিন্তু আমি আমার ক্যামেরায় ছবি তুলতে শুরু করলাম। আমার সামনে তখন অবিশ্বাস্য সব ঘটনা ঘটে চলেছে।
শাবল, কুড়াল, বেলচা এবং লোহার রড নিয়ে তখন লোকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তারা এক বিরাট মাটির ঢিবি ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে।
সবকিছুই ঘটছিল খুব পরিকল্পিত এবং সুচারুভাবে। এদের দেখে মনে হচ্ছিল না তারা কেবল স্বেচ্ছাসেবক, যেভাবে পেশাদারী কায়দায় তারা কাজ করছিল তাতে মনে হচ্ছিল কিভাবে একটা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলতে হবে সেটা তারা ভালোভাবেই জানে।
ভারত সরকারের নিয়োগ করা যে লিবারহান কমিশন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা তদন্ত করেছিল, ২০০৯ সালে তারা তাদের রিপোর্টে এই মহড়ার কথা উল্লেখ করেছিল।
এতে বলা হয়েছিল, "কমিশনের কাছে এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে বিতর্কিত এই কাঠামোটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য একটি মহড়া দেয়া হয়েছিল। কমিশনের কাছে এর কিছু ছবিও জমা পড়েছে। তবে এটি ভাঙ্গার জন্য কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল কিনা, তার নিশ্চিত প্রমাণ নেই। যদিও কিছু অবস্থাগত প্রমাণ এবং কিছু সাক্ষ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে করসেবকদের এটি ভাঙ্গার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।"
আমি একটা লোকের ছবি তুলেছিলাম, যার মুখ রুমালে ঢাকা ছিল। সবার মধ্যে একমাত্র সেই তার মুখটি আড়াল করে রেখেছিল। মাটির ঢিবিটা যারা ধ্বংস করে সরিয়ে নিচ্ছিল, লোকটি চিৎকার করে তাদের নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছিল।
একটি ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর নেতা গোছের বলে মনে হচ্ছিল তাকে। সেজন্যেই সে তার পরিচয় প্রকাশ করতে চাইছিল না।
মাটির ঢিবিটা শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলা হলো। হিন্দু করসেবকরা এরপর সোল্লাসে চিৎকার করতে লাগলো।
আমি জ্যাকেটের মধ্যে আমার ক্যামেরা লুকিয়ে ফেললাম এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। আমি তখনো লোকজনের সঙ্গে শ্লোগান দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমার ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। আমিই হচ্ছি একমাত্র আলোকচিত্র সাংবাদিক, যে এই ঘটনার ছবি তুলতে পেরেছি।

পরের দিন বাবরি মসজিদের কাছেই একটি ভবনের চার তলায় আমরা সাংবাদিকরা অবস্থান নিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাবরি মসজিদ দেখা যায়। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির নেতারা যে সভামঞ্চ তৈরি করেছেন, সেটিও চোখে পড়ে। প্রায় দেড় লাখ হিন্দু করসেব সেখানে জড়ো হয়েছে।
সেখানে থাকা পুলিশ পর্যন্ত করসেবকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে শ্লোগান দিচ্ছিল। দুপুরের একটু পর জনতা উন্মত্ত হয়ে উঠলো। যে পুলিশ বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা মসজিদ ঘিরে রেখেছিল, তাদের বেষ্টনি ভেঙ্গে ফেললো জনতা।
কিছু লোক আমরা যে ভবনে ছিলাম, তার চার তলায় উঠে এলো। তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালালো। ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেললো। কয়েক মিটার দূরেই যে মসজিদ ভাঙ্গার কাজ চলছে, সেটার কোন 'ফোটোগ্রাফিক' প্রমান যেন না থাকে।
মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হলো বাবরি মসজিদ।
আমি দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হোটেলে ফিরে এলাম।ততক্ষণে দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। আমি চারিদিকে পুলিশের সন্ধান করছিলাম, যারা সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু লোকজন তখন দোকান বন্ধ করছে, বাড়ির দরোজায় খিল দিচ্ছে। জানালা বন্ধ করছে।
যেদিন এভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হলো, একজন হিন্দু হয়ে আমি সেদিন লজ্জিত বোধ করছিলাম।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা তদন্ত করে যে 'লিবারহান কমিশন' তার সামনে আমি সাক্ষ্য দিয়েছিলাম। এই মামলার শুনানি চলছে যে বিশেষ আদালতে, সেখানে এখনো মাঝে মধ্যে আমাকে ডেকে পাঠায় সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিবিআই)।
২৫ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল, এখনো পর্যন্ত তাদের কারও সাজা হয়নি।
(প্রভীন জৈন এখন ভারতের 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' পত্রিকার এসোসিয়েট ফটো এডিটর। তাঁর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসির অনসুয়া বসু।)

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার হয়তো গণহত্যা চালিয়েছে': জাতিসংঘ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার হয়তো গণহত্যা চালিয়েছে': জাতিসংঘ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার হয়তো গণহত্যা চালিয়েছে': জাতিসংঘ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জেইদ আল রাদ আল হুসেইন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হয়তো গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
এই প্রথম জাতিসংঘের কোন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মতো অভিযোগ তুললেন। জেইদ আল রাদ আল হুসেইন এর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতাকে জাতিগত নির্মূল অভিযানের জ্বলন্ত উদাহারণ (টেক্সটবুক এক্সাম্পল অব এথনিক ক্লিনজিং) বলে বর্ণনা করেছিলেন।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এক জরুরী অধিবেশনে আজ এক ভাষণে তিনি 'গণহত্যার' আশংকার কথা বলেন। বাংলাদেশের অনুরোধে মানবাধিকার কাউন্সিলের এই জরুরী অধিবেশন ডাকা হয়।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সাধারণত জেনোসাইড বা গণহত্যা শব্দটি হালকাভাবে ব্যবহার করেন না।
জেইদ আল রাদ আল হুসেইন যে এই শব্দটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বোঝা যায় যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতায় জাতিসংঘ কতটা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিবিসির ইমোজেন ফুকস বলছেন, শুধু তাই নয়, এতে আরো স্পষ্ট হচ্ছে যে এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে অং সান সুচির ব্যর্থতাতেও তারা হতাশ।
এ বছরের অগাস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মুখ থেকে শোনা গেছে গণহত্যা, ধর্ষণ, গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগের বর্ণনা।
জেইদ রাদ আল হুসেইন বলছেন, তাদের মুখে এসব ঘটনার বিবরণে এতটাই মিল যে জাতিসংঘ এখন মনে করছে, সেখানে যে গণহত্যা চলেছে সে সম্ভাবনা আর উড়িয়ে দেয়া চলে না।
"আমরা যদি রোহিঙ্গাদের স্বতন্ত্র নৃতাত্বিক, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বার কথা ভাবি, এবং যারা সহিংসতা ঘটাচ্ছে তাদের আলাদা সত্ত্বার কথা মনে রাখি, তাহলে গণহত্যা যে ঘটে থাকতে পারে তা উড়িয়ে দেয়া চলে না ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে একই রকম হত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগের মতো ভয়াবহ বর্বরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।"
মি. আল হুসেইনি আরো বলছেন - মানবাধিকার পরিস্তিতির অব্যাহত নজরদারি এবং শরণার্থীদের নিরাপদে ও মর্যাদা নিয়ে বসবাসের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কাউকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না - এটা দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট হতে হবে।
অবশ্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমারের প্রতিনিধি বলেছেন, এই সহিংসতা মিয়ানমারর সরকারের নীতি নয়, বরং চরমপন্থীরা এসব ঘটাচ্ছে এবং তাদের ঠেকাতে সরকার সবকিছুই করছে।
তিনি যাই বলুন, মি আল হুসেইনি বলেন, বৈষম্য ও সহিংসতা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গাদের নিশ্চিতভাবেই আরো দুর্ভোগের শিকার হতে হবে।
এরশাদের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল  বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

এরশাদের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

এরশাদের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল




১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসের এক তারিখে ঢাকা সেনানিবাসে এক জরুরী বৈঠকে বসেন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।
সে বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, সে প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করা।
জেনারেল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। এর কয়েকদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চিকিৎসক নেতা ডা: শামসুল আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সেনানিবাসের ভেতরে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে দেশের চলমান সংকট একটি রাজনৈতিক বিষয় এবং এ সঙ্কট সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা আরো সিদ্ধান্ত নিলেন যে চলমান রাজনৈতিক সংকটে সেনাবাহিনীর করনীয় কিছু নেই।
এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ সেনা সদরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে দেশে সামরিক আইন জারী করা হবে।
এরপর ডিসেম্বরের তিন তারিখে তখনকার সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সাথে দেখা করতে যান।
সেনা কর্মকর্তারা চেয়েছিলেন যে সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন যেন প্রেসিডেন্ট এরশাদকে পদত্যাগের জন্য সরাসরি বলেন।
কিন্তু সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সরাসরি পদত্যাগের কথা না বললেও তিনি জানিয়ে দেন যে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর অফিসাররা কোন দায়িত্ব নিতে রাজী হচ্ছে না।
তখন ঢাকা সেনানিবাসে ব্রিগেডিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন আমিন আহমেদ চৌধুরী, যিনি পরবর্তীতে মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। মি: চৌধুরী ২০১৩ সালে পরলোকগমন করেন।
২০১০ সালে বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাতকারে জেনারেল চৌধুরী বলেন, " উনি (সেনাপ্রধান) প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন আপনার উচিত হবে বিষয়টির দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান করা। অথবা বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেয়া।"
জেনারেল এরশাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সামরিক শাসন জারীর বিষয়ে সেনাবাহিনী একমত নয় বলে প্রেসিডেন্টকে পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তখনকার সেনাপ্রধান।
প্রেসিডেন্টের সাথে সেনাপ্রধানের বৈঠক নিয়ে তখন দেশজুড়ে নানা গুঞ্জন। সেসব বৈঠক নিয়ে নানা অনুমান তৈরি হয়েছিল সে সময়।
একদিকে ক্যান্টনম্যান্টের ভেতরে নানা তৎপরতা অন্যদিকে রাস্তায় এরশাদ বিরোধী বিক্ষোভ। সব মিলিয়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল।
ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সরাসরি বলেন যে তার পদত্যাগ করা উচিত।
"পদত্যাগের কথাটা জেনারেল সালামই প্রথম সরাসরি বলেন। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আর্মি অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে," বলছিলেন আমিন আহমেদ চৌধুরী।
জরুরী অবস্থা এবং কারফিউর মতো কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমেওে যখন গণআন্দোলন দমানো যাচ্ছিল না তখন সেনাবাহিনীর দিক থেকে নেতিবাচক মনোভাব দেখলেন মি: প্রেসিডেন্ট এরশাদ।
এমন অবস্থায় ডিসেম্বরের চার তারিখ রাতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেনারেল এরশাদ।
তখন এরশাদ সরকারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন মওদুদ আহমেদ. যিনি বর্তমানে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা। মি: আহমেদ জানালেন সেনাবাহিনীর মনোভাব বোঝার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি মি: এরশাদ।
সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন মোকাবেলার জন্য তিনি সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলো এরশাদের সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে তখনকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমেদকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবার জন্য বাংলাদেশে টেলিভিশনে পাঠিয়েছিলেন মি: এরশাদ।
উদ্দেশ্য ছিল, প্রেসিডেন্টের পরিকল্পিত নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা।
বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচনের প্রস্তাব আগেই বর্জন করার পরেও মি: এরশাদ চেয়েছিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরার মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করা।
মি: এরশাদের নির্দেশ মতো ভাইস-প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমদ সন্ধ্যার সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে গিয়েছিলেন ভাষণ রেকর্ড করার জন্য। সে ভাষণ তিনি রেকর্ডও করেছিলেন।
সে ভাষণ রেকর্ড করার পর মওদুদ আহমদ যখন বাসায় ফিরে আসেন তখন তিনি জানতে পারেন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এরপর কয়েক ঘন্টা পর মধ্যরাতে মওদুদ আহমেদকে আবারো বাংলাদেশ টেলিভিশনে যেতে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেবার জন্য।
১৯৯০ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মওদুদ আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, " প্রথম ভাষণ রেকর্ড করে আমি যখন বাসায় ফিরে আসলাম, তখন আমার স্ত্রী বললেন, প্রেসিডেন্ট সাহেব ফোন করেছিলেন। তখন আমি ওনাকে ফোন করলাম। উনি তখন বললেন, আমি এখনই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তখন আমি ওনার বাসায় গেলাম। তখন রাতে নিউজের পরে ওনার পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হলো। "
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় ছন্দপতন হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হবার ঘটনা আন্দোলনে গতি এনেছিল।
আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি'র নেতৃত্বে রাজনৈতিক জোট একই সাথে আন্দোলন কর্মসূচী নিয়ে এগিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীও মাঠে ছিল।
১৯৯০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ছাত্র সংগঠনগুলো 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের' ব্যানারে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল।
সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতা খায়রুল কবির খোকন।
তিনি বলছিলেন, ২৭শে নভেম্বর চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম মিলনকে হত্যার পর আন্দোলনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল।
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দখল করার জন্য বহিরাগত মাস্তানরা পরিকল্পিতভাবে ডা: মিলনকে হত্যা করা হয়েছিল। এটা ছিল আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট, " বলছিলেন মি: খোকন।
ডা: মিলন যখন রিক্সায় করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ডা: মিলনের সাথে একই রিক্সায় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তখনকার মহাসচিব ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
অভিযোগ রয়েছে জেনারেল এরশাদ সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখল চেষ্টার অংশ হিসেবে ডা: মিলনকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, " আমার রিক্সাটা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় উপস্থিত হয়েছে তখন মিলন আরেকটি রিক্সায় করে আমাকে ক্রস করে সামনে চলে যাচ্ছিল। তখন আমি মিলনকে বললাম তুমি ঐ রিক্সা ছেড়ে আমার রিক্সায় আসো। এরপর মিলন আমার রিক্সায় এসে ডানদিকে বসলো। রিকশাওয়ালা ঠিকমতো একটা প্যাডেলও দিতে পারে নাই। মনে হলো সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দিকে থেকে গুলি আসলো। গুলিটা মিলনের বুকের পাশে লেগেছে। তখন মিলন বললো, জালাল ভাই কী হইছে দেখেন। একথা বলার সাথে সাথে সে আমার কোলে ঢলে পড়লো। "
ডা: মিলনকে হত্যার পর জেনারেল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আরো তুঙ্গে উঠে। তখন জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে শুরু করেছিল সেনাবাহিনী।
একইসাথে জেনারেল এরশাদের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল সেনাবাহিনী।
ডা: মিলন হত্যাকাণ্ডের পর আন্দোলন সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট এরশাদ।
সেনা মোতায়েনের জন্য জেনারেল এরশাদ যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করেছিল।
প্রয়াত মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরীর বর্ণনা মতে, সেনাবাহিনী সৈনিকদের পাঠিয়ে রাস্তায় মোতায়েন করার পরিবর্তে রমনা পার্কে সীমাবদ্ধ করে রাখে। কমান্ডিং অফিসাররা সরকারের 'অপকর্মের' দায়িত্ব নিতে রাজী ছিলেন না।
জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে কী হবে সে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী দলগুলো নিজেদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ফর্মুলা ঠিক করে রেখেছিল।
সে ফর্মুলা মতে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিনমাস মেয়াদী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা ছিল।কিন্তু সে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন সেটি তখন নির্ধারিত ছিলনা ।
ড: কামাল হোসেন তখন আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতিও ছিলেন।
তিনি জানালেন, জেনারেল এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেবার পর আন্দোলনকারী দলগুলো তখনকার প্রধান বিচারপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আহমদের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
অস্থায়ী সরকার প্রধানের নাম আসার পর ৬ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দপ্তরে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হয়েছিল।
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, " পাঁচ তারিখে বিরোধী দল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসলো যে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব উপ-রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করে তারপর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির কাজ করবেন তিনি এবং তার অধীনেই একটি নির্দলীয় সরকার হবে। ছয় তারিখ বিকেল তিনটায় আমি রিজাইন করলাম। আমি রিজাইন করার পরে সাহাবুদ্দিন সাহেবকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট এপয়েন্ট করলেন প্রেসিডেন্ট সাহেব। তারপর প্রেসিডেন্ট এরশাদ নিজে রিজাইন করলেন এবং তারপর সাহাবুদ্দিন সাহেব ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু করলেন।"
ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে জেনারেল এরশাদ যখন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন রাস্তায় মানুষের যে ঢল নেমেছিল সেটি ৬ই ডিসেম্বর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের কাছে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত বজায় ছিল।
ধর্ষণকারির সঙ্গে ধর্ষিতা মেয়ের বিয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে  বিবিসি বাংলা - BBC Bangla

ধর্ষণকারির সঙ্গে ধর্ষিতা মেয়ের বিয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে বিবিসি বাংলা - BBC Bangla




বাংলাদেশ সরকার বাল্যবিরোধ আইনের যে খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে, তাতে ধর্ষণকারী বা অপহরণকারীর সঙ্গে কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরকারের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি মঙ্গলবার বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের এই বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে।
বাংলাদেশের নারী অধিকার কর্মীরা এর আগে এই আইনের সমালোচনা করছিলেন এই বলে যে, এতে 'বিশেষ পরিস্থিতিতে' বাল্যবিবাহ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলছেন, যে বিধিমালাটির খসড়া চূড়ান্ত হলো তাতে বলা হয়েছে ধর্ষক, অপহরণকারী বা জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকারীর সঙ্গে বাল্য বিয়ে দেওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। খসড়াটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে, তারপর অনুমোদনের জন্য সংসদে।
তিনি বলছেন, "আমরা বিধিমালায় পরিষ্কারভাবে বলেছি, ধর্ষণের শিকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না।"
ব্যাপক সমালোচনার মুখে বাংলাদেশে এ বছরের ফেব্রুয়ারীতে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ পাশ হয়।
এই আইনের ১৯ ধারায় বলা হয়েছিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে, আদালত ও অভিভাবকের সম্মতিতে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবে।
এক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতি বিশেষ পরিস্থিতি বলে বিবেচিত হবে সেটি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল না।
আর সেখানেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলো সরকার।
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার মেয়েদের সালিশের মাধ্যমে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়ার একটি সামাজিক রীতি প্রচলিত রয়েছে। আপোষে এমন বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষক প্রায় সময় বিচার এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
নারী অধিকার কর্মীদের আশংকা ছিল বাল্য বিবাহ আইনের ১৯ ধারা অপব্যবহার করে বাল্য বিয়ের সুযোগ বাড়বে।
এই ধারা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী। তিনি বলছেন ১৯ ধারাটিই বাতিল করা প্রয়োজন।
তিনি বলছেন, "আমাদের প্রথম কাজ হবে অপরাধটা যাতে না হয় সেটা দেখা। হলে সরকার ও প্রশাসন ভিক্টিমের পক্ষে থাকবে। আইনে যা আছে সেই অনুযায়ী বিচার হবে।"
তবে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলছেন ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না বলে যে বিধিমালা আসতে যাচ্ছে সেটি ১৯ ধারার ঘাটতি কিছুটা মেটাবে। তিনি বলছেন, "আইনটা করার আগেই ১৯ ধারাটা না রাখার জন্য আমরা বারবারই বলেছিলাম। কোন অপরাধীর সাথেই যাতে বিয়ে হতে না পারে সেজন্য কোন একটা বিধি রাখার জন্য আমরা সুপারিশ করে আসছিলাম। যেহেতু আইনটা যেহেতু পাশ হয়ে গেছে তাই এই বিধি কোনও না কোনভাবে অন্তত একটা ব্যাকআপ দেবে।"

মোবাইল ফোন কিনতে আর মদ খাওয়ার জন্য নিজের ১১ মাসের ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছেন

মোবাইল ফোন কিনতে আর মদ খাওয়ার জন্য নিজের ১১ মাসের ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছেন
এক পাষণ্ড বাবা। হতবাক করা এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উড়িষ্যায়।


মঙ্গলবার পুলিশ উড়িষ্যার ভদ্রক থেকে লোভী বাবা বলরাম মুখিকে গ্রেফতারের পর ঘটনা সামনে চলে আসে। পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে সে।



পুলিশ সূত্র জানায়, মাত্র ২৩ হাজার রুপিতে নিজের ১১ মাসের শিশুপুত্রকে ষাটোর্ধ্ব এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে বলরাম।



পরে প্রাপ্ত টাকা থেকে দুই হাজার রুপিতে নিজের জন্য একটা মোবাইল সেট কিনে। আর সাত বছরের মেয়েকে একটি রুপোর অ্যাঙ্কলেট কিনে দেন বলরাম।



  • আর বাকি টাকা সে মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয়।

মৃত সন্তান প্রসব ঠেকাতে নারীদের কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ এক গবেষণায়

মৃত সন্তান প্রসব প্রতিরোধে সন্তানসম্ভবা নারীদেরকে একপাশে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 
গর্ভধারণ কালের শেষ তিন মাস সম্ভাব্য মায়েদেরকে এভাবেই ঘুমাতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 
ব্রিটেনে প্রায় এক হাজার নারীর ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পিঠের ওপর চিৎ হয়ে ঘুমালে মৃত শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। 
গবেষণায় ২৯১ জন গর্ভবতী নারীর উপর নজর রাখা হয়েছিলো যারা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন এবং ৭৩৫ জন নারী জন্ম দিয়েছে জীবিত শিশুর। 
এই সমীক্ষার পর গবেষকরা বলছেন, নবজাতকের স্বাস্থ্যের সাথে সম্ভাব্য মা কিভাবে ঘুমাচ্ছেন তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এবং ঘুমানোর এই ভঙ্গিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
তবে তারা এও বলছেন, ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সন্তানসম্ভবা নারী যদি দেখেন যে তারা তাদের পিঠের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন তাহলে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। 
ব্র্যাডফোর্ডের একজন নারী গ্রেইস, প্রেগনেন্সির ৩৫ সপ্তাহের মাথায় তার সন্তানকে হারিয়েছেন। তিনি বলছেন, "আমি জানতাম কিছু একটা ভুল হয়েছে। একদিন ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলাম কিছু একটা হয়েছে। আমি হাসপাতালে ছুটে গেলাম। তারা মনিটর অন করে সেখানে শিশুর হার্টবিট খুঁজে পেল না। আমার জীবনের খুব কষ্টকর মুহূর্ত ছিলো সেটি- যখন দেখলাম আমার সন্তান তার জন্মের আগেই মারা গেছে।"

গ্রেইস এখনও জানেন না কি কারণে তার গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছিলো।
























যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে ২২৫টি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি মৃত শিশুর জন্ম হয়। বলা হচ্ছে, সম্ভাব্য মা যদি একপাশে কাত হয়ে ঘুমাতে যান তাহলে বছরে ১৩০টির মতো নবজাতকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।


ব্রিটিশ জর্নাল অফ অবসটেট্রিক্স এন্ড গাইনোকলজি এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।
এর আগে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতেও একই ধরনের গবেষণাতেও সন্তানসম্ভবা মায়েদেরকে প্রায় একই রকমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।

ম্যানচেস্টারে এই গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক প্রফেসর আলেকজান্ডার হেজেল এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, গর্ভবতী নারীদেরকে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে সেটি হলো- তারা কি পজিশনে ঘুমাতে গিয়েছিলেন।
"এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই অবস্থানেই তিনি সবচেয়ে বেশি সময় কাটান। আর ঘুম থেকে উঠার পর নিজেকে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ ওই পজিশন নিয়ে কিছু করার আর কোন সুযোগ নেই। কিন্তু কি পজিশনে ঘুমাতে যাচ্ছেন সেবিষয়ে নারীরা অনেক কিছু করতে পারেন।
চিৎ হয়ে কিম্বা উপুড় হয়ে ঘুমালে মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি কেন বেড়ে যায় সেবিষয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।
কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে- নারীরা যখন পিঠের উপর শুয়ে থাকে তখন শিশু এবং গর্ভাশয় এই দুটোর মোট ওজন রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ তৈরি করে। এর ফলে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্ত এবং অক্সিজেনের প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে।
একপাশে কাত হয়ে কিভাবে ঘুমানো যায় তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা:
আপনি যখন ঘুমাতে বিছানায় যাবেন তখন আপনার পিঠের পেছনে কয়েকটি বালিশ রেখে দিন যাতে একদিকে কাত হয়েই ঘুমাতে হয়।
রাতের বেলা হঠাৎ যদি আপনার ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে একবার দেখে নিন আপনি কি পজিশনে ঘুমিয়ে আছেন, তারপর আবার একপাশে কাত হয়ে ঘুমাতে চলে যান।
দিনের বেলায় ঘুমাতে গেলেও, যদি সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যেও হয়, তখনও আপনি রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার মতো শরীরের পজিশনকে গুরুত্ব দিন।
ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর যদি দেখেন চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাথে সাথেই একপাশে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
তবে ডান দিকে বা বাম দিয়ে কাত শোওয়ার মধ্যে গবেষণায় কোন পার্থক্য পাওয়া যায়নি।

Earn daily 10$ 50$ without investment Bangla Tutorial 2017

Earn daily 10$ 50$ without investment Bangla Tutorial 2017

World Top Earning Site BestChange
Earn twice – by saving money during e-currency exchange and by getting money for new participants in the system?
The convenient and stable BestChange.com service allows you to do it:
- the dynamic process of monitoring currency exchange rates guarantees that you save a considerable amount of money during the exchange procedure and the larger the sum you are going to exchange is the larger amount it will be;
- referral bonus payments for new participants gives you real money that you can transfer to your own e-currency account at any moment (as soon as you have 1 USD on your PayPal account).
To make it more comfortable for users, the interface of the exchanger monitoring service does not need to be refreshed – everything is done automatically so that all the user has to do is take a look at the table of rates for the necessary exchange direction and choose the necessary exchanger.
                                                 https://www.bestchange.com/?p=215483
                                                 https://www.bestchange.com/?p=215483
                                                 https://www.bestchange.com/?p=215483

                          

                                                         




Keyword:
"Earn money from youtube with adsense in (Bangla),make money online,bangladesh,making money tutorial bangla,make money from ,easy earning method in bangla,google adsense,associate adsense to youtube bangla,create a youtube channel,make money,


" Adsense Earning Bangla Tutorial "
" Adsense Earning Bangla Tutorial 2015"
" Adsense Earning Bangla Tutorial"

"How to create a Google AdSense account using YouTube 2015 - Bangla Tutorial"
How To Earn From Internet Google Adsense Tutorial In Bangla Part 1
How to Increase Adsense Income by Blocking Low CPC Ads On Adsense 2015 Bangla Tutorial
How to create a Google AdSense account using YouTube 2015 - Bangla Tutorial
how to approve adsense account with youtube (Bangla Tutorial)
What Is Fake Click Google Adsense Tutorial In Bangla Part 5
What Is Google Adsense? Google Adsense Tutorial In Bangla Part 3
Google Adsense Introduction Google Adsense Tutorial In Bangla Part 2
What Is Blogging Google Adsense Tutorial In Bangla Part 4
How To Create Google Adsense Account Google Adsense Tutorial In Bangla Part 9
Kinds of Blogging Google Adsense Tutorial In Bangla Part 6
How To Google Adsense Configure & Get Code Google Adsense Tutorial In Bangla Part 10
How To Google Adsense Earnings Report Google Adsense Tutorial In Bangla Part 13
How to View Your YouTube Adsense Earnings :Complete Tutorial [HD
How to Earn 1000$ From Google Adsense in 2015
how to check your youtube earnings in google adsense New tutorial June.2015
How To Google Adsense Implement Add Using Code 2 Go Adsense Tutorial In Bangla Part 12
How To Google Adsense Increase Visitor Google Adsense Tutorial In Bangla Part 14
Earn 50$ to 100$ Per day with Google Adsense 2015, 2016
How To Setup Google Adsense From Start To Finish - Adsense Tutorial
Tutorial On How To Earn From Google Adsense
Adsense Earning Tricks 2013 Tutorial You Tube
How To Google Adsense Add Using Code Google Adsense Tutorial In Bangla Part 11
How To Google Adsense Payment System- Google Adsense Tutorial In Bangla Part 15
how to check google AdSense Estimated Earnings in bangla
Earn money with Google Adsense and youtube hindi tutorial
5 Stupidly Simple Steps To Make Money With Adsense!
How To Earn From Internet Google Adsense Tutorial In Bangla Part 11
How To Receive Payment From Google Adsense
Google Adsense Tutorial In telugu [www.timecomputers.in]
How to Earn 50$ to 100$ Per day with Google Adsense 100% genuine
Way of Earning Money Adsense bangla tutorial part-4
how to create youtube channel BANGLA part -3(EARN MONEY)
How to earn money in a short time from youtube+google/adsense । Bangle tutorial.
[Tutorial] How to Check Youtube Google Adsense Earning
Earn from Google Adsense video
Process of Google Adsense-Google Adsense Tutorial In Bangla Part 7
How To signup Skrill Online Bank Bangla Tutorial With Skrill verify Account
Adsense Earning(s) Tutorials Jan 2014/2015 - How to check your YouTube Earnings
How To Create E-Mail Account-Google Adsense Tutorial In Bangla Part 8

Professional Adsense Earning Bangla Tutorial Part-01








Tag:
how to earn money online, firstincomebd, easy money per day $ 5 to $ 12 easy, earn money 100 % sure, how to earn money by google adsense bangla video tutorial, google adsense bangla video, earn money by google adsense bangla video tutorial, how to earn money from youtube, google adsense bangla tutorial, bangla tutorial, how to create a google adsense account using youtube, earn from internet google adsense, tutorial in bangla, how to increase adsense income, how to approve adsense account with youtube, earn 50$ to 100$ per day with google adsense, youtube earning bangla tuorial, how to check youtube google adsense earning, how to, professional adsense earning bangla tutorial part-01, professional adsense earning bangla tutorial 2015, professional adsense earning bangla tutorial tuber community, professional adsense earning bangla tutorial, professional adsense earning tuber community, bangla tutorial, tuber community, how to, apply, google adsense, earn money, make money, online money, earn by blogging, bangla, bangla tutorials, latest earning tips, professional adsense earning bangla tutorial part-01, professional adsense earning bangla tutorial 2015, professional adsense earning bangla tutorial tuber community, professional adsense earning bangla tutorial, professional adsense earning tuber community, bangla tutorial, tuber community, 

Featured Post

বাংলাদেশে রাতের গণপরিবহনে নারীরা কতটা নিরাপদ? BBC News বাংলা

বাংলাদেশে নারী যাত্রীদের অনেকেই বলছেন, রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন কিংবা পুরুষ যাত্রীদের দ্বারা শারীরিক কিংবা মানসিক নির্য...

Top international News

loading...

Popular Posts